মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে বন্দির মৃত্যু
৭ মে ২০২৪ ২২:৫৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। ২০ দিন আগে ফাঁসির রায় হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত আবুল কাশেমের (৭১) বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বালুচড়া এলাকায়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনি (বন্দি) বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। হাইপার টেনশনও ছিল। সকালে কারাগারের ভেতরে নির্ধারিত সেলে মাথা ঘুরে পড়ে যান। আমরা প্রথমে কারা হাসপাতালে নিই। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
গত ১৮ এপ্রিল আবুল কাশেমসহ দুই আসামিকে তিন খুনের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
দুই দশক আগে ২০০৪ সালের ২৯ জুন বালুচরা এলাকায় তৎকালীন দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই আলমগীর ও বোন মনোয়ারাকে বাসায় ঢুকে খুন করা হয়। দণ্ডিত আসামিদের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরকে পুঁজি করে নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ নিতে শিবির ক্যাডার গিট্টু নাছির, তার সহযোগী ফয়েজ মুন্না ও আজরাইল দেলোয়ার মিলে তিনজনকে খুন করে। ঘটনার সময় তাদের সঙ্গে ছিল কাশেম ও ইউসুফ।
সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বায়েজিদ বোস্তামি থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ইউসুফ, কাশেম, গিট্টু নাছির ও ফয়েজ মুন্নাকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে আজরাইল দেলোয়ারের নাম এজাহার ও অভিযোগপত্রে আসেনি, যদিও তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম ছিল। কিন্তু র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যাওয়ায় তার নাম বাদ পড়ে।
২০১৭ সালের ৫ জুলাই ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে মারা যাওয়ায় গিট্টু নাছির ও ফয়েজ মুন্নাকে বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত রায় দেন। ওইদিনই সাজামূলে কাশেম ও ইউসুফকে কারাগারে পাঠান আদালত।
সারাবাংলা/আরডি/একে