Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথের দর্শনের মূলে বাঙালি জাতিসত্তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ মে ২০২৪ ১৯:০৫

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নতুনকে আলিঙ্গন করে নব জাগরণের ডাকে ফিরে আসে পঁচিশে বৈশাখ। বাংলার মানুষের জীবনসংগ্রাম, দুঃখ দুর্দশা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মবোধের বিকাশের মূলেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং স্মারক বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষের দীর্ঘ সংগ্রাম, অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রাণপুরুষ। পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একই পথের যাত্রী। দুইজনের দর্শনের কেন্দ্রে ছিল বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদাবোধ।

তিনি বলেন, কবিগুরু ছিলেন প্রেম, প্রকৃতি, পূজা, স্রষ্টার বন্দনা ও মানবতার অফুরন্ত সংমিশ্রণ। প্রতিবাদ ও সহমর্মিতার মিশ্রণ হয়েছে তার লেখনীতে। কঠোর ও কোমলের সংমিশ্রণের একটি অনন্য উদাহরণ হল নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতাটি।

ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম নবীন ও প্রবীণের বন্ধন, নারী অধিকার ও নারী জীবনের বাস্তবতাকে রবীন্দ্রনাথ তার প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতায় বিশেষভাবে স্থান দিয়েছেন। যুদ্ধের দামামায় অশান্ত বিশ্বের বুকে শান্তির বাণী ছড়িয়েছেন। আঁধার কেটে আলোর পথে সত্য ও সুন্দরের নিরন্তর সাধনায় রবীন্দ্রনাথ নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, সমাজের বিবর্ণতা দূরীকরণে বাঙালির চিন্তায়, মননে একাত্ম হয়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ।

অনুষ্ঠানে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা ছাড়াও রবীন্দ্র অনুরাগী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর