নোয়াখালীতে যাত্রা শুরু করল উন্মুক্ত লাইব্রেরি
৯ মে ২০২৪ ১১:২১
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার নোয়াখালীতে যাত্রা শুরু করল উন্মুক্ত লাইব্রেরি। এরমধ্য দিয়ে দেশের কোনো জেলায় প্রথম শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এই লাইব্রেরি।
বুধবার (৮ মে) নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী পৌর পার্কে ফিতা কেটে লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ।
এর আগে, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। উদ্যান ফটকের ময়লার ভাগাড়কে বই পড়ার স্থানে পরিণত করেন ডাকসুর সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগনেতা তানভীর হাসান সৈকত।
তানভীর হাসান সৈকত বলেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, আমাদের মনোজগতের উন্নয়ন। উন্নত দেশগুলোতে আমরা রাস্তার পাশে কিংবা উন্মুক্ত পার্কে মানুষকে বই পড়তে দেখি। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি দেখা যায় না। উন্মুক্ত লাইব্রেরির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশেও সে ধরনের সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, তরুণদের মধ্যে যারা বই বিমুখ হয়ে গেছে, উন্মুক্ত লাইব্রেরি তাদের জন্য নতুন দ্বার খুলে দিবে, নতুন পথ দেখাবে এবং নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুর রশিদ কিরণ বলেন, বই মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, মানুষকে সমৃদ্ধ করে৷ লাইব্রেরি বা পাঠাগার একটি অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করে তুলতে পারে। নোয়াখালীর মাটিতে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করে তুলবে বলে বিশ্বাস করি।
উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি ছড়িয়ে পড়ার যে স্বপ্নটি আমরা লালন করছি, নোয়াখালী জেলায় উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে শুরু করেছে। আমি বিশ্বাস করি নোয়াখালীতে প্রতিষ্ঠিত উন্মুক্ত লাইব্রেরি এই অঞ্চলের মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
সারাবাংলা/আরআইআর/ইআ