বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মিয়ানমার বিজিপির আরও ৫ সদস্য
১০ মে ২০২৪ ০০:১০
কক্সবাজার: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীর সাবরাং পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিল দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিপির আরও পাঁচ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আদনান চৌধুরী বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের নাফ নদীর সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ পয়েন্ট দিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় বিজিপির পাঁচ সদস্য বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের হাতে ভারি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল। তাদের পরনে ছিল মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পোশাক।’
তিনি বলেন, ‘বিজিপি সদস্যদের নৌকাটি নাফ নদীর তীরে পৌঁছলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিবির সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলে। তখন তারা অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর পর তারা আশ্রয় প্রার্থনা করেন।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘পরে তাদের বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। এর পর বিজিবি সদস্যরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।’
এদিকে, বিকেল ৫ টার দিকে মিয়ানমার শান্তিরক্ষী বাহিনীর এই পাঁচ সদস্যকে গাড়ি যোগে ২০ কিলোমিটার দূরের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজু।
উল্লেখ্য, গত রোববার টেকনাফে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে তিনটি কাঠের ট্রলারে করে বিজিপির ৮৮ সদস্য পালিয়ে এসেছেন। তাদেরও হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
এর আগেও দুই দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। তারও আগে পাঠানো হয় ৩৩০ জনকে। এদের মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী ও কাস্টমস কর্মকর্তারা ছিলেন।
সারাবাংলা/পিটিএম