Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিনেমায় আমি বাংলাদেশের কথা বলি


২৯ মে ২০১৮ ১৩:২৪

তুহিন সাইফুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

তৌকীর আহমেদ একাধারে নায়ক, নাট্যকার ও নির্মাতা। টিভি পর্দায় তাকে প্রথম দেখা যায় আশির দশকে। প্রথম পরিচয় অভিনেতা। দৃশ্য জন্ম দেয়ার খেলায় অনেক বছর ধরে তিনি ছড়িয়ে গেছেন মুগ্ধতা। এরপর নিজেই শুরু করেছেন দৃশ্য নির্মাণ। ক্যামেরায় চোখ রেখে দর্শককে শোনাচ্ছেন জোসনা কালের ইতিহাস। সিনেমার নাম করে দেখাচ্ছেন রূপালী রোদের ডানা।

তৌকীর আহমেদ নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘জয়যাত্রা’। প্রথম ছবিতেই তিনি জিতে নিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের ভালোবাসা, জিতেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। এরপর একে একে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘রূপকথার গল্প’, ‘দ্বারুচিনি দ্বীপ’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘হালদা’-এর মতো নন্দিত সব সিনেমা। তার সর্বশেষ নির্মাণ ‘ফাগুন হাওয়ায়’।

ফাগুন হাওয়ার গল্প বোনা হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সুতোয়। সেই সময়ের হাওয়ায় ভাসতে থাকা মফস্বলের একদল থিয়েটারকর্মীর বেদনা, বন্ধুত্ব ও বিদ্রোহের বিস্তারিত বর্ণনা এ ছবি। সিনেমাটির দৃশ্য ধারণের সময়ে নেয়া হয়েছিলো এ সাক্ষাৎকার। যেখানে তৌকীর শুনিয়েছেন বোধ ও বাস্তবতার স্বপ্নমগ্ন কিছু কথা।


  • ভাষা আন্দোলন নিয়ে গোছানো সিনেমা বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া ছবিতে ভাষা আন্দোলন যেভাবে এসেছে সেভাবে হয়তো আর কোন সিনেমাতেই আসেনি। আপনার পরবর্তী ছবি ফাগুন হাওয়ায় বায়ান্নর সিনেমা! বায়ান্ন নিয়ে কেন সিনেমা বানাচ্ছেন?

ভাষা আন্দোলন নিয়ে আগেই কাজ হওয়া উচিৎ ছিলো কিন্তু হয়নি। বায়ান্ন নিয়ে আমার সবসময় আগ্রহ ছিলো। আমার মনে হয় যে বাঙালির জাতিসত্ত্বার, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের শুরু আসলে বায়ান্নর আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। ছবিটির চিন্তাও এসেছে এই ভাবনা থেকেই। চেষ্টা করছি মফস্বলের গল্পে সেই সময়টাকে ফ্রেমে ধরতে এবং দর্শককে আরেকটু গভীরভাবে জানাতে।

বিজ্ঞাপন
  • এখন বাংলা সিনেমাতে অনেক ভারতীয় অভিনেতা অভিনয় করছেন। ফাগুন হাওয়ায় ছবিতেও অভিনয় করছেন একজন ভারতীয় অভিনেতা (যশপাল শর্মা)। তাকে নেয়ার পেছনে কারণ কি? চরিত্রের প্রয়োজনে নাকি বাণিজ্যিক প্রচারণার জন্য নিয়েছেন?

না, বাণিজ্যিক প্রচারের জন্য নেইনি। ছবিতে পাকিস্তানি পুলিশ অফিসারের চরিত্রটির জন্য আমরা এমন একটি চরিত্র খুঁজছিলাম যাকে সার্বক্ষণিকভাবে উর্দু বলতে হবে এবং তাকে দেখে মনে হতে হবে যে সে পাকিস্তানি। যশপালকে দেখে আমার মনে হয়েছে তাকে খুব মানাবে এই চরিত্রটিতে। তিনি উর্দু ভাষাও খুব ভালো জানেন। ওনার পরিবার পাকিস্তান থেকে দেশ ভাগের সময় ভারতে এসেছিল। সে কারণেই তাকে নেয়া। লক্ষ্য করলে দেখবেন, এটা নিয়ে আমি তেমন কোন প্রচারে যাইনি। বরং মিডিয়াই তার আগ্রহে, তার কন্টেন্টের জন্য হয়তো ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলছে। তাকে নিয়ে আমি কোন বাণিজ্যিক প্রচারণা করিনি। আমি এটা করি না, কেবল নিজের কাজটা করে যেতে চাই।

  • আপনার সিনেমাতে নদীকে বেশ চমৎকার ভাবে দেখানো হয়। আপনার প্রায় প্রতিটি ছবিতেই গল্পের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিলো নদী। এটা কি সচেতনভাবেই করেন? জলকে ভালবেসে?

আমি আসলে সিনেমায় বাংলাদেশের কথা বলি বা বলতে চাই। আমাদের দেশটা হচ্ছে নদীর দেশ বা জলের দেশ। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের প্রকৃতি চিত্রায়ন করতে গেলে নদীকে বাদ দিয়ে চিত্রায়ন করা সম্ভব না। এখানে জালের মতো ছড়িয়ে নদী-নালা। নদী থেকে আমাদের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়েছে। নদীর বাঁক থেকে এসেছে আমাদের নৌকার শেপ, বাংলা ঘরের চালা। আমাদের আবেগেও হয়তো নদীর সেই বাঁক আছে, স্রোত আছে, ঢেউ আছে আবার প্লাবনও আছে। নদী আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এবং নদীকে আমার কাছে জীবন্ত চরিত্র মনে হয় সবসময়। আমি ড্রইং রুমের চেয়ে নদী শুট করতে বেশি পছন্দ করি।

বিজ্ঞাপন
  • সর্বশেষ সিনেমা হালদায় আপনি নদীর সঙ্গে নারীর একটা সম্পর্ক বা সংযোগ টানার চেষ্টা করেছেন। সিনেমার যে এই রূপক উপস্থাপন এমনটা আপনার অন্য ছবিগুলোতে খুব একটা দেখা যায়নি। গল্প বলায় এই বাঁক বদলের কি কারণ?

মানুষ তো প্রতিনিয়ত নিজেকে পরিবর্তন করে। ‘হালদা’য় বিষয়টা আলাদা ছিলো, একটা নদীর গল্প, নদী তো আর কথা বলে না, কথা বলে তার পাশের মানুষগুলো। যারা তার উপর নির্ভরশীল, নদীর কাছ থেকে উপকৃত। এসব কারণে আমাকে ব্যপারটা মাথায় রাখতে হয়েছিল যে, নদীর গল্পটা আমি কিভাবে বলবো। আমি এটা বলতে মানুষের সাহায্য নিয়েছি, আবার দুজনের মধ্যে মিলগুলো খুঁজেছি। নারী এবং নদী একইভাবে প্রকৃতির সবচেয়ে বড় দান আবার একইভাবে তারা নির্যাতিত বা বঞ্চিত সেই জায়গাটায় তাদের সংযোগ করার চেষ্টা করেছি। হাসু (তিশা), হালদার মা মাছ ও হালদার দূর্ভোগটাকে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় দর্শক ব্যপারটা রিলেট করতে পেরেছে।

  • আপনার সিনেমায় নায়ক বা নায়িকার চেয়ে গল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। এটা তো অনেক পরিচালক চাইলেও করতে পারেন না। আপনি হয়তো খুব সহজেই গল্পটাকে নায়কের আসনে বসিয়ে দিতে পারেন। এই ব্যপারটা আপনাকে আনন্দ দেয় না?

আমি সিনেমায় নামার আগে চিত্রনাট্য নিয়ে অনেক কাজ করি। আমার মনে হয় যে কন্টেন্টটা শক্তিশালী হওয়া দরকার। এবং সেটার উপস্থাপন যদি আকর্ষণীয় হয় তাহলে ছবি দর্শকের ভালো লাগবেই। এখন যদি আমার কন্টেন্ট শক্তিশালী না হয়, মেকিং দিয়ে সেটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মুশকিল। আমি মনে করি যে, ফিল্ম আসলে সবকিছু মিলিয়েই যে ইমেজটি তৈরী করে, সেটা অভিনয়ে হোক, শব্দে হোক, বাজনা হোক বা গল্প-দৃশ্য সবকিছু মিলিয়ে একটি চিত্রকল্প তৈরি করে। এই জায়গাটিতে চিত্রনাট্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। এই জায়গাটাতেই আমি বেশি সময় দেই, কাজটা করিও বেশ যত্নের সঙ্গে।

  • আপনি নিজে একজন ভালো গল্পকার বলেই কি আপনার সিনেমার গল্পগুলোতে যত্নের একটা ছাপ দেখা যায়?

আমি আমার শিল্পের প্রয়োজনে লিখি। যখন আমাদের মঞ্চ নাটক দরকার হয়েছে লিখেছি, ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিটিও মঞ্চের জন্যই লিখেছিলাম। ওই মাধ্যমে যেহেতু আমি কাজ করি, তাই গল্পটা নিজেই লেখার চেষ্টা করি। আমরা তো সবাই একটা নির্দিষ্ট মাধ্যমে কাজ করি, চলচ্চিত্র নির্মাতারা তার মাধ্যমটিকে বোঝার চেষ্টা করেন, আমিও চেষ্টা করছি। এখানে প্রতিনিয়ত একটা অনুশীলন থাকে বা নতুন কিছু শেখার থাকে। তার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হয়। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি আরেকটু কিভাবে ভালো বানানো যায়, গল্পটিকে কিভাবে আরেকটু জীবনঘেঁষা করা যায়।

  • দ্বারুচিনি দ্বীপ ছবিতে আপনি যে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন, পরের সিনেমাগুলোতে আপনি সেটা করেননি। বেদনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়ার একটা প্রবণতা আপনার মধ্যে দেখা যায়

আমার প্রথম ছবি ছিলো ‘জয়যাত্রা’ দ্বিতীয় ছবি ‘রূপকথার গল্প’ তৃতীয়টা হচ্ছে ‘দ্বারুচিনি দ্বীপ’। আমার তো মনে হয় গল্পে পরিবর্তন আসতেই পারে। তাছাড়া ‘দ্বারুচিনি দ্বীপ’ ছবিতে একটা অন্য ব্যপারও ছিলো, এটি হুমায়ূন আহমেদের গল্প, চ্যানেল আইয়ের প্রজেক্ট, আমাকে যখন বলা হয় যে আমি আগ্রহী কিনা, তখন আমার কাছে মনে হয় ঠিক আমি যে ধরণের সিনেমা ভাবি এটা হয়তো তা না কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জটাকে নিয়েছিলাম। দর্শক পছন্দ করেছে। আমি মনে করি ক্রিয়েটিভ জায়গায় রিপিটেশনটাকে যতোটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া। কেননা রিপিটেশন আমাদেরকে এগিয়ে যেতে দেয় না। সেই জায়গা থেকেই আমি নতুন কিছু খুঁজি। নিজেকে ভাঙ্গার চেষ্টা করি প্রতিবার।

  • আপনি সহ কয়েকজন পরিচালকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটা অভিযোগ রয়েছে যে আপনার অনেক সুন্দর সিনেমা তৈরি করলেও দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারছেন না! এই অভিযোগটিকে কিভাবে দেখবেন?

ফালতু অভিযোগ! এটা আমার একার দায়িত্ব না। দর্শকেরও দায়িত্ব আছে আমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার। মানে আমি বলছি, সব শিল্পই যদি পঞ্চাশ ভাগ নির্মাণ হয় তাহলে পঞ্চাশ ভাগ দর্শক। এই দর্শকের ভূমিকাটা খাটো করে দেখা যাবে না। দর্শক না দেখলে যেমন আমার দুঃখ হয়, কিন্তু দর্শককে তো দেখার জন্য তৈরি হতে হবে। একটা লোক যদি, পপ সঙ্গীত শুনতে ভালোবাসে, তার উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বা অন্য নজরুলগীতি বা রবীন্দ্রগীতি সেটা শেখার জন্য তার কানটাও তৈরি হতে হবে। সেরকম ভালো ছবি দেখার জন্য মন এবং চোখও তৈরী হওয়ার দরকার আছে।

  • আপনার এই যুক্তির উত্তরে যদি এমন পাল্টা প্রশ্ন আসে যে, এদের মন ও চোখ তৈরি করার দায়িত্ব কি আপনাদের নেই?

আসলে হয়েছে কি দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র দেখে দর্শকেরা হতাশ হয়েছে। মধ্যবিত্ত এবং শিক্ষিত শ্রেণী আশি-নব্বইয়ের দশকের পর সিনেমা থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। বাদবাকী যারা রয়ে গেছেন তাদেরকে এমনই জিনিস দেয়া হয়েছে যে তাদের রুচি নিম্নগামী হয়েছে। আজকে সেই দর্শককে নির্মাতার পক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন। ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্র বাণিজ্যের ধ্বস নেমেছে, চলচ্চিত্রের টোটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, দেশের প্রদর্শন ব্যবস্থায় বাজে অবস্থা চলে এসেছে, অনেক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গেছে, সুতরাং এখানে একা নির্মাতা এটা বদলাতে পারবেন না। সেটা সত্যজিতও পারেননি, কুরোসাওয়া পারেননি। এর জন্য একটা রাষ্ট্রীয় পলিসিও দরকার যে চলচ্চিত্রকে আমরা আমাদের সামাজিক ও জাতীয় জীবনে কোথায় দেখতে চাই। আপনি যদি ভালো হল বানান , চলচ্চিত্রের জন্য ভালো প্রতিষ্ঠান বানান তাহলে কেন হবে না।

  • এক সময় আপনি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা, এরপর হলেন পরিচালক। দুটো ভিন্ন সময়ে দুটো ভিন্ন পরিচয়ে আপনি তুমুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। দুটো সময়কে ব্যক্তি হিসেবে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করি। কারণ আমি সবসময় মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। তারা আমার কাজ নোটিশ করেছে, নাও করতে পারতো। সেই জায়গা থেকে আমি বলি যে আমি খুব সৌভাগ্যবান। আমি কিছুটা প্র্যাকটিকালও। আমি সারাজীবনই নব্বই দশকের রোম্যান্টিক নায়ক হয়ে থাকতে চাইনি, এটা সম্ভবও না। সুতরাং আমার যা করতে ভালো লেগেছে, যেটা আমি করতে চেয়েছি, সেটা করেছি। আমার মনে হয়, আমি আমার জীবন ও কর্ম নিয়ে এগিয়ে গিয়েছি, এখনো একই রকমভাবে যেতে চাচ্ছি। সেই দিক থেকে আমি সুখীও।

  • একটা সময় সবাই আপনার চেহারা চিনতো সবাই, এখন আপনি ক্যামেরার পেছনে কাজ করায় (নাম চিনলেও) সেই চেহারাটা ভুলে যাচ্ছে মানুষ

এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা এবং এটা হওয়া ভালো। কারণ আমি কখনো কোন স্টারডমের মধ্যে আটকে থাকতে চাইনি। আমি স্বাভাবিক জীবন চেয়েছি। এবং আমি যখন তুমুল জনপ্রিয় তখনও আমি আমার প্রাইভেসি ও ব্যক্তিজীবন মিস করেছি। এখন বরং আমি কিছুটা স্বাচ্ছন্দবোধ করি চলাফেরায়। একই সঙ্গে আমাকে যখন মানুষের ভালো লাগে সেটাও এনজয় করি। জীবন স্বাভাবিক গতিতেই এগিয়ে যাবে, মোড়ে মোড়ে তার সাইনপোস্ট থাকবে, বদল থাকবে, সেই বদল ও বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

  • আপনাকে শেষ প্রশ্নটা করবো, এই যে আপনি ফিল্ম বানাচ্ছেন, সিনেমায় নির্মাতা তৌকিরের দর্শনটা কি?

শিল্প আসলে মানুষকেই বোঝার চেষ্টা করে, আন্ডারস্ট্যান্ডিং হিউম্যান লাইফ, মানুষের সেই যাপিত জীবনের বেদনা এবং তার স্বপ্নের উদযাপন দুটোই পর্দায় দেখানো আমার লক্ষ্য। আমরা জানি যে, পৃথিবী তার নিয়মেই চলেছে, সেখানে সবকিছুর পরও যে সত্যটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সেটা হচ্ছে মানুষ। এই সব আয়োজন আসলে তার জন্যই অথবা তার সপক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং তাকে যদি একটু এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতো, তার ভাবনা এবং তার বিশ্বাসের জায়গা থেকে, তাহলে হয়তো পৃখিবীটা আরেকটু সুন্দর হতে পারতো।

  • শেষ প্রশ্নটার শেষ অংশ, তৌকীর আহমেদ নিজের সমালোচনা করলে কিভাবে করবে?

আমার লিমিটেশন আছে। তবে সেগুলো ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আমি সবসময় করি। অ্যাংগার এবং শর্ট টেম্পার্ড, কখনো অসহিষ্ণু, আমি যে ধরণের কাজ করি আমার মনে হয় যে… ঠিক… আমার কাজের ধরণটাই তো আলাদা, সেটাও স্বাভাবিক যে আর দশজন রেগুলার জীবন যাপনকারী লোকের চেয়ে আমাদের জীবনের পার্থক্য হয়তো আছে। আচরণে বা ভাবনায় পার্থক্য হয়তো থাকবে। তারপরও আমার মনে হয় মানুষ হিসেবে অনেক লিমিটেশন আছে যেগুলি প্রকাশ পেলে আমি সংকোচিত বোধ করি। সে জায়গাগুলো আমাকে ভাবায়।

ছবি : আশীষ সেনগুপ্ত

সারাবাংলা/টিএস/পিএ/পিএম

অজ্ঞাতনামা জয়যাত্রা তৌকীর আহমেদ দ্বারুচিনি দ্বীপ ফাগুন হাওয়ায় রূপকথার গল্প হালদা

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর