‘মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেয়েছি’
১৪ মে ২০২৪ ২২:৫০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবার। বিকেল ৪টা। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) এক নম্বর জেটিতে শত মানুষের ভিড়। সবার দৃষ্টি সাগরের দিকে। সোমালি জলদস্যুদের হাতে যে ২৩ নাবিক জিম্মি হয়েছিলেন দুই মাসেরও বেশি সময়, তারা যে ফিরছেন এই পথ ধরে। জিম্মি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠানের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩ তখন তাদের বয়ে আনছে চট্টগ্রামের এই বন্দরে।
স্বজনদের মুক্তির সংবাদে স্বস্তি আর আনন্দের জোয়ারে তারা ভেসেছেন আগেই। কিন্তু রক্তমাংসের সেই স্বজনকে তো পাশে পাননি। স্বজনকে কাছে ফিরে পাওয়ার শেষ মুহূর্তের সেই অপেক্ষার পালা যেন শেষ হয় না। অবশেষে জাহাজ দৃষ্টিসীমায়। শুরু হয় স্বজনদের উল্লাস। ছেলের অপেক্ষায় থাকা মা হাত নাড়ছেন দূরের জাহাজে অবস্থানরত ছেলের উদ্দেশে। মাত্র বুঝতে শেখা শিশুটিও বাবার ফেরার আনন্দে উদ্বেল। আনন্দ ছুঁয়ে যাচ্ছিল স্বামীর জন্য অপেক্ষায় থাকা স্ত্রীকেও।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান। জাহাজ ভিড়ল জেটিতে। নাবিকরা যখন একে একে জাহাজ থেকে নেমে আসছিলেন জেটিতে, উচ্ছ্বাস আর উল্লাসের পাশাপাশি সৃষ্টি হয় এক আবেগময় পরিবেশ। টানা ৬৪ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার অবসানে দেশের মাটি ছুঁয়ে নাবিকরা আর নিজেদের সংবরণ করতে পারেননি। কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রায় সবাই।
আরও পড়ুন- ‘মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে এসেছি’
স্বাভাবিকভাবেই বাঁধ মানেনি স্বজনদেরও। ছেলেকে বুকে নিয়ে মা, শিশুসন্তানকে বুকে নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ফেরা বাবার অশ্রুধারায় সিক্ত হয়েছে এনসিটি-১ জেটি। স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আশায় প্রহর গুনেছেন যে স্ত্রী, তার চোখের জলও ছুঁয়ে গেছে সবাইকে। সেই অশ্রুর ফোটায় ফোটায় ভালোবাসা আর মমতা, পরিশুদ্ধ মানবিক আবেগের ঊর্মি যেন।
এমন আবেগঘন মুহূর্তে শুরুতে কথাই বলতে পারছিলেন না কেউ। একটু ধাতস্থ হতে পারলেন যখন, এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান জানালেন যেন নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার অনুভূতির কথা, ‘দেশে এসে জাহাজ থেকে নেমে মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেয়েছি। বন্দি অবস্থায় যতদিন ছিলাম, পরিবারের কাছে কখনে ফিরতে পারব কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। এখন মেয়েদের বুকে নিয়ে কত শান্তি লাগছে, এ অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না।’
চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পেরেছি, আমার পরিবারের জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। একটি নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার মতো অনুভূতি আমার হচ্ছে। যখন থেকে জিম্মি হয়েছি, তখন থেকে অপেক্ষা করছিলাম যে কখন আবার পরিবারের কাছে ফিরে যাব। সবচেয়ে বেশি চিন্তা করেছিলাম আমার মেয়েদের নিয়ে। আমার কিছু হয়ে গেলে ছোট তিন মাছুম বাচ্চার কী হবে! জাহাজ থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই দুই মেয়ে দৌড়ে আমার কোলে এসে চুমু দিয়েছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
ছেলে আতিকুল্লাহকে জড়িয়ে ধরতেই কান্না থামিয়ে রাখতে পারেননি বৃদ্ধা মা শাহনূর আক্তার। সে কান্না থামাতেও পারছিলেন না। পরে নিজেকে সামলে নিয়ে সারাবাংলাকে বললেন, ‘অনুভূতি কীভাবে বোঝাব? এ একমাস আমাদের কীভাবে দিনগুলো গেছে, সেটা আমরা জানি। ঠিকমতো ঘুমাতে পারতাম না, খেতে পারতাম না কেউ। ছেলেকে ফিরে পেতে সবসময় জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম। আল্লাহ আমার দোয়া শুনেছে। আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। বাসায় আজ তার পছন্দের বিরিয়ানি করেছি।’
আতিকুল্লাহর বড় মেয়ে ইয়াশারিয়া ফাতিমা বলেন, ‘অনেক দিন পর আব্বুকে কাছে পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে। আম্মু আব্বুর জন্য অপেক্ষা করছে। আব্বুকে তাড়াতাড়ি আম্মুর কাছে নিয়ে যাব।’
জাহাজের আরেক নাবিক সাব্বির হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাহাজ জিম্মি হয়ে যাওয়ার পর থেকে সবসময় অস্ত্রের মুখে থাকতাম। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সবসময় অস্ত্রই দেখতাম। খেতে গেলেও অস্ত্রের মুখে থাকতাম। সময়টা খুব ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় ছিল। সে ভয়াবহ সময় থেকে মুক্তি পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে। আমাদের কোম্পানি ও সরকারকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। এখন সোজা টাঙ্গাইলে বাড়িতে চলে যাব। আমার মা-বাবা অপেক্ষা করছেন। তাদের দোয়া ছিল বলেই আজ জীবিত ফিরে আসতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন- ৬৪ দিনের উৎকণ্ঠার অবসান, স্বজনের বুকে ২৩ নাবিক
‘যতদিন বেঁচে থাকব, দিনগুলো ভুলতে পারব না’
জাহাজ তখনো সাগরে। আসতে আরও সময় আছে। কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি প্রিয়তম স্বামীকে দেখতে অনেক আগেই এনসিটি-১ জেটিতে আড়াই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে এসে অপেক্ষা করছিলেন নাবিক নুরুদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর পরপরই একে একে নেমে আসতে থাকেন সব নাবিক। প্রিয়তম স্বামীকে খুঁজতে হাতে ফুল নিয়ে হন্যে হয়ে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছিলেন জান্নাতুল। খুঁজে পেয়েই নুরুদ্দিনের পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। এরপর নিজের আড়াই বছর বয়সী ছেলে সাদ বিন নূর ও স্ত্রীকে বুকে জড়িয়ে কিছুক্ষণ কান্না করেন নুরুদ্দিন।
নুরুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভাবতে পারিনি দেশে এসে ছেলেকে বুকে নিতে পারব। জিম্মি হওয়ার পর থেকে জলদস্যুদের অস্ত্র দেখলে মনে হতো ছেলেকে আর বুকে নিতে পারব না। ওখানে প্রত্যেকটা দিন আমাদের দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে। যতদিন বেঁচে থাকব, দিনগুলোর কথা ভুলতে পারব না। আমার মা বাড়িতে অপেক্ষা করছে। সকালে জাহাজে ওঠার সময় কথা হয়েছিল। আসতে চেয়েছিল। আমি আসতে বারণ করেছি। সত্যি বলতে, জাহাজ থেকে নামার পর এত ভালো লাগছে, যা কখনো লাগেনি।’
এদিকে জিম্মি দশা থেকে ফিরে আসা নাবিকদের সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, কেএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সরওয়ার জাহান রোকন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘দুমাস মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত যারা মনে করেছেন এ মাত্র আমাদের জীবনপ্রদীপ শেষ হয়ে আসবে, তাদের আমরা ফিরে পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চট্টগ্রামবাসী আজ আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত, আবেগাপ্লুত। সন্তান ফিরে এলে মা-বাবা যেমন অশ্রু ধরে রাখতে পারে না, তেমনি আমরা যারা সমবেত হয়েছি তারা আবেগ ধরে রাখতে পারিনি।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ‘২৩ নাবিককে সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি, এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটি সাফল্য। নাবিকদের আত্মীয়স্বজনরাও এখানে এসেছেন, যার কারণে অন্য রকম একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমি বন্দর কর্তৃপক্ষের সব কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাই।’
‘পরিবারের কথা ভেবে খুব খারাপ লাগত’
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে সাহস রেখেছিলাম। সবাইকে সাহস দিতাম। আমাদের সামনে একে-৪৭ রাইফেল তাক করে রাখত জলদস্যুরা। তবে কারও গায়ে হাত তুলেনি। আমরা ভয়ে ছিলাম খাবার ও পানি নিয়ে। খুব সেভ করে চলতাম। দেশে পোঁছানৌর আগেই যদি খাবার-পানি শেষ হয়ে যেত, খুব সমস্যায় পড়ে যেতাম। তার আগেই আমরা মুক্ত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনের মধ্যে সাহস রাখলেও পরিবারের কথা ভেবে খারাপ লাগত। কান্নাও করেছি। তবে মনোবল হারাইনি। মার সঙ্গে সবসময় কথা হতো। তিনি সাহস দিতেন সবসময়।’
ছেলে ঘরে ফিরবে, তাই তানভীরের মা জ্যোৎস্না বেগম বাসায় ছেলের পছন্দের শুঁটকি, গরুর মাংস ও শিমের বিচি রান্না করেছেন। এরপর দুপুরে চলে আসেন জেটিতে। অপেক্ষা করতে থাকেন কখন ছেলে ফিরবেন। আদরের ছেলেকে কখন বুকে নেবেন।
জ্যোৎস্না বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘কী যে টেনশনে ছিলাম, বোঝাতে পারব না। ছেলের জন্য রাতদিন নামাজ পড়েছি, খেতেও পারিনি। ঈদও ভালো করে কাটাতে পারিনি আমরা কেউ। ছেলেকে কাছে পেয়ে ভালো লাগছে। ছেলে বলে রেখেছে আমার হাতের রান্না খাবে জাহাজ থেকে নেমে। বাসায় ছেলের পছন্দের সব খাবার রান্না করেছি। বাসায় সবাই অপেক্ষা করে আছে। আমার আত্মীয়-স্বজনরাও এসেছে।’
জাহাজের আরেক নাবিক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সবসময় মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হতো। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছিল, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ছাড়া পাব। এ জন্য আমরা আশা রেখেছিলাম, খুব তাড়াতাড়ি বন্দিদশা থেকে মুক্ত হব। তবে ভয়ও ছিল। কারণ তাদের হাতে সব আধুনিক অস্ত্র ছিল। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারত। আমরা খাবার ও পানি নিয়ে চিন্তায় থাকলেও সংকটে পড়িনি। জাহাজ সোমালিয়া উপকূলে ভেড়ার পর তারা খাওয়ার জন্য ছাগল নিয়ে এসেছিল। সবার দোয়া ছিল বলেই আমরা মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে পেরেছি।’
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত ১২ মার্চ বেলা ১২টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
মুক্তিপণ পরিশোধের পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৮ মিনিটে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে যায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর পরপরই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের পথে রওনা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত উপকূল থেকে সোমালিয়ার সীমানা পার করে দেয়।
জাহাজটি ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। পরদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় নোঙর করে জেটিতে। সেখানে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাসের পর ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় সেটি চুনাপাথর বোঝাই করার জন্য মিনা সাকার বন্দরে যায়। চুনাপাথর বোঝাই শেষে আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দর থেকে জ্বালানি নিয়ে ৩০ এপ্রিল দেশের পথে পাড়ি দিতে শুরু করে এমভি আব্দুল্লাহ।
জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির একমাস পর সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় কক্সবাজারে পৌঁছে জাহাজটি। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেটা কুতুবদিয়ায় পৌঁছে নোঙর ফেলে। জাহাজটিতে নতুন নাবিক পাঠানো হয়। লাইটারেজ জাহাজে চড়ে নতুন নাবিকদের একটি দল জাহাজটির দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন ওই ২৩ নাবিক।
নাবিকরা চট্টগ্রামে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে ৬৪ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর সময়ের অবসান হয়েছে। নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আরও পড়ুন-
- চোখে পানি, মুখে হাসি | ছবি
- বাবার সঙ্গে ঈদ করতে চায় আসফিয়া
- ‘ওরা যেদিন মুক্ত হবে সেদিনই আমাদের ঈদ’
- জাহাজেই ফিরবেন ২৩ নাবিক, চলছে কয়লা খালাস
- ‘পাশ ফিরলেই দেখি বড় বড় গান তাক করে রেখেছে’
- সাইদুজ্জামান জিম্মি সোমালিয়ায়, বাড়িতে ঈদ রঙহীন
- ৩১ দিন পর জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত এমভি আবদুল্লাহ
- বন্দুকের নলের মুখে ঈদের নামাজ, পরিবারের জন্য হাসিমুখে ছবি
- চাপ-অভিযান নয়, জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে সমঝোতায় জোর
- জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সাইদুজ্জামান, ঈদের আনন্দ নেই পরিবারে
সারাবাংলা/আইসি/টিআর
এমভি আব্দুল্লাহ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জিম্মি নাবিক নাবিকদের প্রত্যাবর্তন সোমালিয়ান জলদস্যু