Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশে নিয়োগ: ৮৮টি এসআই পদ সংরক্ষণের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ মে ২০২৪ ১৯:৪৯

ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদের নিয়োগে সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদ থেকে ৮৮টি পদ সংরক্ষণের (শূন্য রাখার) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

পরে আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া সারাবাংলাকে জানান, ২০২৩ সালের ৩ মে পুলিশের নন ক্যাডার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) (নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইন আবেদন পূরণ করে চাকরিপ্রার্থীরা ওয়েব স্ক্রিনিং পাস করে ২০২৩ সালের ৬ থেকে ৮ জুন তিন দিনের শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। দুই দিনের লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাঁচ হাজার ৮৩৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। পরে কম্পিউটার টেস্টে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয় পাঁচ হাজার ৩১ জন।

পরে একই বছরের ১৯ আগস্ট থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে একই বছরের ১৩ অক্টোবর ৫০৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৯২১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়। পরে একই বছরের ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ৮৫৭ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীর সারদার মোলিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যোগ দেন ৮২৩ জন।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজসহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকার তথ্যমতে, ১৪০০ জনের বেশি শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও সারদায় আবাসন সংকটের জন্য ৯২১ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩৯তম এসআই (নিরস্ত্র) নিয়োগের পর ২০২২ সালের বাংলাদেশ পুলিশের এক পরিসংখ্যানে অনুযায়ী এসআই (নিরস্ত্র) শূন্য পদ ছিল ১৩২০টি।

বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদে নিয়োগ বলা থাকলেও ওই নিয়োগে শূন্য পদ পূরণ হয়নি। আবাসন সংকটের জন্য ৯২১ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করলেও যোগদান করেন ৮২৩ জন, যা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত থেকে আরও ৯৮ জন কম। কিন্তু শারীরিক পরীক্ষা, লিখিত, মনস্তত্ব পরীক্ষা ও কম্পিউটার টেস্টে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়নি।

এরপর মনস্তত্ব পরীক্ষা ও কম্পিউটার টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত না হওয়া মো. এখলাছ চৌধুরীসহ ৮৮ জন ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন।

এদিকে রিটটি চলমান থাকা অবস্থায় গত ১ ফেব্রুয়ারি পূনরায় পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) পদের প্রকৃত শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত আগ্রহী পুরুষ ও নারী চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর এসআই পদের ৮৮টি পদ সংরক্ষণের জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেন ওই ৮৮ জন রিটকারী। ওই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় পুলিশের ৮৮টি এসআই (নিরস্ত্র) পদ সংরক্ষণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেন রিটকারীরা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পুলিশের সর্বশেষ এসআই (নিরস্ত্র) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদ থেকে ৮৮টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

এসআই পদে নিয়োগ টপ নিউজ পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশ

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর