Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমি দেখি সরকার এমনিই নড়ছে: মান্না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২৪ ১৮:২৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: সরকার এমনিতেই নড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ আলোচনা সভা আয়োজন করে। ১৯৭৬ সালের এই দিনে মাওলানা ভাসানী রাজশাহী থেকে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে লং মার্চ করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকার তো বদলাবে আজ হোক কাল হোক বদলাবেই। কেউ কেউ মনে করেন যে, শেখ হাসিনাকে পাঁচ বছর কেউ কিছু করতে পারবে না, আবার কেউ কেউ বলেন, যতদিন জীবিত আছেন তাকে নড়াতে পারবেন না। কিন্তু আমি দেখি সরকার এমনিই নড়ছে। কারণ রিজার্ভ নাই। সরকার ভয়াবহ রকমের একটা অর্থনৈতিক সংকটে আছে। সব মিলে পরিস্থিতি এরকম এই যে, আমরা একটা পরিবর্তনের কথা বলতাম না অবজেক্টিভ রিয়েলেটি কি, মানে এখানকার বস্তগত পরিস্থিতি কি, বাস্তবতা অবস্থাটা কি বিরাজ করে নাকি পরিবর্তনের পক্ষে। আমি বলি, সব দিক থেকে পক্ষে।’

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি আমরা জিতেছি না হেরেছি সেই বির্তক বাদ দেন। কিন্তু মানুষ এখন আমাদের পক্ষে আছে। মানুষ এখন সমর্থন করছে এই জন্য না যে, ভারতকে দেখতে পারে না। আমার এখানে নির্বাচন হবে ভারত এখানে বলে আমার সিকিউরিটি প্রশ্ন বিবেচনোয় রেখে নির্বাচন করতে হবে। সে (ভারত) কে?’

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক

মান্না বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণ ভোট দেবে কাকে? গোটা মানুষ ঠিক করবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সে ক্ষমতায় যাবে। ভারতের যদি দরকার লাগে আমাদের সেই সরকারের সাথে অথবা যেকোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করবে। ওরা কি রকম সরকার চায় তার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে এখানে? এটা আমি না বলছি এটা হতে পারে না। লড়াইটা তাই অনেক বড়. লড়াই অনেক বেশি দৃঢ়, লড়াইটা অনেক বেশি শক্ত এবং লড়াইটা হতেও পারে একটু দীর্ঘ।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন আমরা যখন বলছি, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ শিখরে এটা বলেই শেষ করেনি। বলেছে কি? ভারতের সাথে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক, রক্তের বাঁধন। তারা এই রক্তের বাঁধনের জন্য প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করে, জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে এই অসম সম্পর্কের দায় শোধ করতে হচ্ছে। খুবই লজ্জার খুবই অপমানের। নিজেদের স্বদেশি হত্যা হচ্ছে তার উপযুক্ত প্রতিবাদ পর্যন্ত হয় না। আমার এখানে লাশ ফেরত পাব কিনা এটার জন্য পতাকা বৈঠক হয়। এটা খুব লজ্জার, দুখের এবং অপমানের।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমাদের দেশের পররাষ্ট্র নীতি বলে কিছু নেই। তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কোনো কাজ নেই। দিল্লী আছে আমরা আছি, আমেরিকার দিল্লীকে দরকার, দিল্লীরও আমেরিকার দরকার। দিল্লী আছে, আমরা আছি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ওবায়দুল কাদের সাহেব পরিস্কার করে ঘোষণা করে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এরকম একটা পররাষ্ট্র নীতিতে চলা মানে হচ্ছে, বাংলাদেশ যে রাষ্ট্র রক্ত দিয়ে অর্জন করা হয়েছে একটা সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আজকে সেই রাষ্ট্রকে দাসত্বের দিকে পরিস্কারভাবে ঠেলে দিয়ে আবার ঘোষণা করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের বর্তমান পরিণতি ৫৪ বছরে এসে রাজনৈতিক দিক থেকে সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আমরা দাসত্বের কবলে পড়েছি। বাংলাদেশের মানুষকে আজকে মওলানা ভাসানী যেভাবে এদেশের মানুষের আত্মমর্যাদা, এদেশের মানুষের অধিকার এ দেশের সকল মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কথা বলেছেন সেই জায়গা থেকে আমাদেরকে আজকে নতুন করে আন্দোলন করতে হবে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ওই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।’

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর