সেতুর ওপর নির্বাচনি ক্যাম্প, ভেঙে দিল প্রশাসন!
১৮ মে ২০২৪ ১৯:০১
মুন্সীগঞ্জ: সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে মো. আওলাদ হোসেন মৃধা নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তার পক্ষে সমর্থকরা সেতুর ওপর আনারস প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করেঠছিলেন। যদিও প্রশাসন সেটি ভেঙে দিয়েছে।
অথচ উপজেলা নির্বাচন আচরণবিধির ১২(৩) ধরায় বলা হয়েছে, মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো স্থানে নির্বাচনি প্রচার ক্যাম্প করা যাবে না। কিন্তু আনারস প্রতীকের সমর্থক আব্দুর রাজ্জাক ও শেখ আব্দুল হক কেয়াইন ইউনিয়নের মীর্জাকান্দা গ্রামের মির্জাকান্দা সেতুর ওপর এ ক্যাম্প তৈরি করেন।
তবে শনিবার (১৮ মে) দুপুরে প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পটি সরিয়ে নিতে বলে। এক পর্যায়ে প্রশাসনের লোকজন এসে ভেঙে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, দুদিন আগে সেতু বন্ধ করে বাঁশের ওপর সামিয়ানা দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুর হকরা নির্বাচনি ক্যাম্পটি তৈরি করেন। এতে সেতু ব্যবহারকারী কামারকান্দা গ্রামের মানুষদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এমনকি যানবাহন চলাচলে বিঘ্নও সৃষ্টি হয়। প্রার্থী আওলাদ হোসেন সংসদ সদস্যের সমর্থনপুষ্ট হওয়া ক্যাম্পটি তৈরির সময় কেউ বাধা দেয়নি।
আচরণ বিধির ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় কি না তা তিনি জানেন না। তবে ক্যাম্পটি অস্থায়ী ছিল। সেতুর ওপর তোলায় একটি পক্ষ আপত্তি করেছে। শনিবার দুপুরে প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পটি সরিয়ে দিয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ এদিন বিকেলে বলেন, ‘সকালে আমরা খবর পাই, পরে দুপুরে আমাদের লোকজন ওই স্থানে গিয়ে ক্যাম্পটি ভেঙে দিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিরাজদিখান উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা ফারজানা উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পটি ভেঙে দেন। এ ছাড়া, যারা ক্যাম্পটি করেছেন তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। এর পর যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সিরাজদিখান উপজেলায় তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/পিটিএম