বাস ভাঙচুরের পর সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
১৯ মে ২০২৪ ১৭:০৬
ঢাকা: প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অবরোধ থাকার পর মিরপুর-১০ নম্বর ও সোনি সিনেমা হল চত্বর এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তিনটি বাস ভাঙচুর করে।
রোববার (১৯ মে) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ অবরোধকারীদের লাঠিচার্জ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর গোল চত্বর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। চার ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশ বাস চলাচল শুরুর অনুমতি দিলে বিক্ষুব্ধ অটোরিকশা চালকরা তিনটি বাস ভাঙচুর করে। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
সরেজমিনে বেলা আড়াইটার দিকে দেখা যায়, পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশাচালকেরা লাঠি ও ইট দিয়ে বাস ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির জানান, প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধের কারণে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। আড়াইটার দিকে একপাশ দিয়ে বাস চলাচল শুরু করলে তিনটি বাস ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। তবে পুলিশের বাধায় তারা সেখান থেকে সরে যায়।
মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা কালশী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা বেশ কয়েকজন প্যাডেলচালিত রিকশাচালককে মারধর করেন। মিরপুর-১১ এলাকায় বেশ কয়েকটি বাসের গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে বিক্ষোভকারীরা মিরপুর-১০ মোড়ে জড়ো হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পরে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে। মিরপুর-১০ এলাকা ছেড়ে তারা কালশীর দিকে বিক্ষোভ ও বাস আটকাতে থাকে। পরে সেখানে টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
গত ১৫ মে বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে