ক্ষমতা ছেড়ে দেন, তারপর দেখেন : মান্না
১৯ মে ২০২৪ ২২:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর দেশ চলছে কি না সেটা দেখার জন্য বলেছেন নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দিলে দেশ কেন চলবে না প্রশ্ন রেখে মান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বলেছেন, আমি ক্ষমতা যদি ছেড়ে দেয়, তাহলে কার হাতে দেব! কে দেশ চালাবে। কত বড় সমস্যা। কার কাছে দেবে। আগে তো ছাড়েন। দেখেন কীভাবে দেশ চলে। আপনার বাবা যখন মারা গেছে তখন কী দেশ চলেনি।’
‘জিয়াউর রহমান যখন মারা গেল তখন কী দেশ চলেনি। উনাকে তো কেউ মরতে বলছে না। উনিও মৃত্যুর কথা বলছেন না। উনি ক্ষমতা ছেড়ে যদি দেন দেশ চলবে না কেন? ছেড়ে দেন। তারপর দেখেন দেশ চলে কিনা।’
আওয়ামী লীগ সরকার সংকটে আছে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মান্না বলেন, ‘সরকার বড় রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিগত ভাবে বড় সংকটে আছে। এরকম সংকট পৃথিবীর খুব কম দেশে আছে। ভারতের অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দলের লোকদের গ্রেফতার করে ও মেরে ফেলে নির্বাচন করা হয়েছে ভারতের মোদি সরকার এখন সেটা করছে।’
‘মানে ভারতের মানুষের কাছে শেখ হাসিনা মসুর (জনপ্রিয়) অত্যাচারী হিসেবে পরিচিত। জালিম হিসেবে তারা ভেবেছে এটাই বন্ধুত্বের লক্ষণ। জনগণের প্রতিনিধিরাই এ কথা বলছে। এ কথা আমেরিকাও বলে। ইউরোপের দেশগুলোও বলে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম এ সরকারকে পতন করাব। পতন হয়নি। একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করব। তার অধীনেই নির্বাচন হবে। সেটাও হয়নি। কিন্তু সরকার কি জিতেছে? ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বলেছেন, বিরোধী দল বলে ওরা জিতেছে। আপনারা তো ভোটই করেননি। ওরা জিতলো কীভাবে।’
‘আমরা সরকার পতন করাতে পারেনি ঠিক কিন্তু নির্বাচনে সরকার জিতেনি। যদি জিততো তাহলে ওবায়দুল কাদের কেন বলছে দেশ-বিদেশের সবাই মিলে তাদের উৎখাত করার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা কেন বলছে, ক্ষমতা হস্তান্তর করতে তিনি মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না।’
বাংলাদেশের দেউলিয়ার পর্যায়ে চলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলার নিচে। আমাদের আমদানিসহ বিভিন্ন কিছু কেটেকুটে ফেলে দিলেও পাঁচ বিলিয়ন ডলার তিন মাসে খরচ হয়। এখন আপনার কাছে আছেই ১২ বিলিয়ন ডলার। তিন মাস পর পর যদি এ টাকা খরচ হয় তাহলে রিজার্ভ যা আছে তাও চলে যাবে। কে আপনাকে তখন জিনিস দেবে।’
‘বাংলাদেশ এখন দেউলিয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। সরকার খুবই বিপদে আছে। জিনিসের দাম বাড়ছে আর বাড়ছে। সরকার কোনোভাবেই কমাতে পারছে না। বিদ্যুতের দাম কমছে না। বলছে সমন্বয় করবে। কিন্তু দাম তো কমবে না। ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে লাগে চার থেকে পাঁচ টাকা। কিন্তু ইউনিট প্রতি সাধারণ মানুষকে খরচ করতে হয় ১২ টাকা। এ দূর্নীতি তো মানুষ দেখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার চীনের কাছে ২০ বিলিয়ন চীনা ইউয়ান মুদা ঋণ চেয়েছে, যেটা চীনা টাকায় নিতে হবে। কিন্তু এ টাকা নিলে খরচ করবে কোন দেশে। শেখ হাসিনা এখন হাত মুচড়াচ্ছে না, যদি ভেঙ্গে যায়। মুচড়ালেই তো ব্যাথা। শেখ হাসিনা শঙ্কায় আছে তিনি পাঁচ বছরে ক্ষমতা থাকতে পারবেন কিনা।
‘এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সরকারকে যেতে হবে। সরকার পতনের এ লড়াইয়ের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শেখ হাসিনা চোরদের সরদার। আপোষ করে ভালো থাকা যায় না। কখনও থাকা যাবে না।’
আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপারে মানুষের ক্ষোভ আছে জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘মানুষের মধ্যে একটি হতাশা আছে। গত তিনদিন আমি চট্টগ্রামে আছি। এ তিনদিন আমি চট্টগ্রামের নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ সরকারের পক্ষে জোরালো কোনো কথা বলতে পারেননি। তাদের মাঝে প্রচণ্ড একটি ক্ষোভ ও বিক্ষোভ আছে সরকারের ব্যাপারে। মানুষ এ সরকারকে আর দেখতে চাই না।’
সিন্ডিকেটই সরকারের বাইরে-ভেতরে থেকে দেশ চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন পুরোপুরি নৈরাজ্য চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে কোনো রাজনৈতিক সরকার বলা যায় না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাই এ কথা বলছেন। এখন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতারা কি দেশ চালাচ্ছে? মন্ত্রীরা কি জানে দেশে কি চলছে বা আগামীকাল কি হবে।’
‘বাংলাদেশের একমাত্র একজন স্বাধীন নাগরিক ছাড়া আর কেউ জানে না কি হচ্ছে। সবাই হুকুমের গোলাম। তার মাধ্যমেই দেশে খুন, দূর্নীতি হচ্ছে। একটি সিন্ডিকেট দাঁড়িয়ে গেছে। এ সিন্ডিকেট সরকারের বাইরে ও ভেতরে থেকে দেশ চালাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষকে নিয়ে জুয়া খেলছে অভিযোগ করে সাইফুল হক বলেন, ‘পুরো দেশটাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন বাজি ধরেছে। জুয়া খেলায় জুয়াড়িরা উম্মাদ হয়ে পরিবারের সদস্য ও স্ত্রীকে বাজি ধরে জুয়া খেলে। এ সরকার দেশের ১৭ কোটি মানুষকে নিয়ে এখন জুয়া খেলছে। যেভাবেই হোক তাদের জমিদারি বহাল রাখতে হবে। জমিদারি বহাল রাখতে তাদের যা যা করার সব তারা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমরা ৭ জানুয়ারির আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারিনি। হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারিনি। তাই বলে আন্দোলন থেকে পিছপা হবো সেটা হতে পারে না। যেই ব্যবস্থা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করে আমরা সেটার সংস্কার চাই। ফ্যাসিবাদী সরকার হটানোর আন্দোলনে যারাই রাজপথে ছিল তারা গণতান্ত্রিক ভাবে বিজয়ী হচ্ছে। দেশের মানুষ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে আমাদের উপর আস্থা রেখেছে।’
‘উপজেলা নির্বাচনে অনেক কেন্দ্রেই ভোট দিতে দেখা দিয়েছে দুই থেকে তিনজনকে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা আজ ধসে পড়েছে। সরকার নির্বাচনকে তার নিজের মতো করে সাজিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচনে ৫০ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা ৫০ ও ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করে।’
ভারতের সমর্থনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে অভিযোগ করে সাইফুল হক বলেন, ‘এরশাদবিরোধী আন্দোলনের পর এ প্রথম সব রাজনৈতিক দল এক দাবিতে রাজপথে দাঁড়িয়েছে। রাজপথের এ ঐক্য ৩৩ বা ৩৪ বছরে আর কখনও দাঁড়ায়নি। সবাই চাই এ সরকার আর না থাকুক। সরকার মেজর ইব্রাহিমসহ দুই একজনকে ছাড়া আর কাউকে কিনতে পারেনি।’
‘জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদেরও বলেছে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। ডামি নির্বাচন হয়েছে। তাকে বাধ্য করা হয়েছে নির্বাচনে আসার জন্য। সরকার বলছে, ভারত পাশে ছিল বিধায় তারা নির্বাচন করতে পেরেছে। এটা দ্বারা বুঝা যায় বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনে নয় ভারতের সমর্থনে তারা ক্ষমতায় এসেছে। বৈধতা নেই বলেই তার এখন সরকার চালাতে পারছে না।’
সরকার চিকন সুতার উপর দাঁড়িয়ে আছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তারা সন্ত্রাসীদের দল। জঙ্গীবাদীরা ঠিক যেরকম নির্বাচন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করে, তারাও সে মতাদর্শ গ্রহণ করে দেশকে তাদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের দেশকে দেওয়ার মতো কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাতনায় পরিণত হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ১৮০ ডিগ্রির উল্টো দিকে।’
‘দেশের উচ্চ আদালত ভেঙে পড়েছে। গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে। ইতিহাস গণতন্ত্র মঞ্চকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার। সরকার এখন চিকন সুতার উপর দাঁড়িয়ে আছে, যে কোনো মূল্য এ সুতা কেটে পড়ে সরকার ভূপাতিত হতে পারে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের এখন নাভিশ্বাস উঠে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতি বাম ও ডান তাকে উৎখাত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু কেন তাকে উৎখাত করতে চাই তিনি সেটা বলেননি। ১৮ কোটি মানুষের ভোটাধিকার তিনি হনন করেছেন। তারা তো আন্দোলনে নামবে।
‘সমাজে তিনি মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছেন তিনি। উনি বলছেন উনার দল নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। কিন্তু এখন মানুষের বিপক্ষে যদি কেউ থাকে সেটা আওয়ামী লীগ। কারণ মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা গণতন্ত্র সেটা তিনি কেড়ে নিয়েছেন।’
‘সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন দাঁড়িয়েছে এখন জনগণের দরকার এ ঐক্যকে আরও বিস্তার করা। ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতার গদিকে নাড়িয়ে দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা এনে দেওয়া।’
বাংলাদেশ ভারতের শিক্ষক এ পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কুইক রেন্টাল পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতকে আজ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পকেট থেকে টাকা বের করে অন্যদের পকেটে ঢুকানো হচ্ছে। শুধু ব্যবসায়ীরা না আমলা, প্রশাসন যারা উনাকে ক্ষমতায় রেখেছে তারাও হাজার কোটি টাকার মালিক, যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর।’
‘বাংলাদেশকে দেখে ভারতও তাদের দেশে গণতন্ত্রকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে পদ্ধতি শিখছে। বলতে গেলে বাংলাদেশ শিক্ষক এ পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ভোটাধিকার হননের জন্য পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করেছে। ভয়ের রাজত্ব তৈরি করেছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে হলে এসব বুঝতে হবে। না বুঝলে দেশ হুমকির মধ্যে হবে। সরকার বলে, দিল্লি আছে তো আমরা আছি। এটাই দাসত্বের প্রমাণ। আওয়ামী লীগ বুঝাতে চাচ্ছে তারা নায়েব হিসেবে এদেশে নিয়োজিত আছে।’
‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট রাজত্ব কায়েম করেছে, যেটা রাষ্ট্রকে হুমকির মধ্যে ফেলছে। গণতন্ত্র মঞ্চ এ সংকটের সমাধান দিয়েছে। এজন্য আগে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত পরিবর্তন করতে হবে। গণতান্ত্রিক সংবিধান ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এগুলো প্রতিষ্ঠা করলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে পারবে না।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারিনি সেটা হতাশার ব্যাপার। মানুশ যেটা স্বপ্ন দেখেছে সে আন্দোলনে সফল হতে পারি নি। তবে মানুষের কাছে স্লোগান পৌঁছিয়ে দিতে পেরেছি। পুরো বাংলাদেশে সংগঠিত না হওয়া্র কারণে শক্ত আন্দোলন গড়ে তোলা যায়নি। বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হতে বাধ্য। গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীদের যদি গড়ে তোলা না যায় তাহলে ভোটচোরদের ক্ষমতা থেকে হটানো যাবে না।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ সভাপতি তানিয়া রব বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চের প্রথম দাবিই শাসনব্যবস্থা বদলের। যদি শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন না করি তাহলে ১৭ কোটি মানুষের সম্পূর্ণ অধিকার ফিরে পাব না। ভোটাধিকার হননের মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
‘সরকারকে ভয় পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার দলের অনেকেই বলে অনেকেই বলে আমরা ভারতের প্রার্থী। এখান থেকে বুঝা যায় দেশে কি চলছে। অভাব ও সংকট আছে। এগুলোর মধ্যে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
গণতন্ত্র মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ও জেএসডির আহবায়ক জবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির লক্ষীপুর জেলার আহবায়ক আবদুল মোতালেব, নোয়াখালী জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরুল রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাবেদ, সদস্য এস এম রুবেল, গণসংহতি আন্দোলনের বান্দরবান জেলার সদস্য মং চাই মারমা, কক্সবাজার নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক আবুল হাসনাত রাসেল ও বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম।
সারাবাংলা/আইসি/একে