স্টার্টআপের জন্য ২ কোটি টাকার তহবিল তৈরির কাজ চলছে: পলক
২১ মে ২০২৪ ২০:২০
ঢাকা: দেশের স্টার্টআপ শিল্পকে সহযোগিতা করার জন্য দুই হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (২০ মে) রাতে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের অধীনে দুই হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরির কাজ চলছে। স্টার্টআপদের আরও উৎসাহিত করতে এই তহবিল তৈরি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১০০ কোটি টাকা এ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরও ৫০০ কোটি টাকার জন্য আবেদন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ খাতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের অধীনে দুই হাজার কোটি টাকার তহবিল থাকবে এবং এ বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- আইসিটি খাতে কর অব্যাহতি বহাল থাকার আশাবাদ সালমান এফ রহমানের
এ সময় প্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির দাবি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় এই প্রযুক্তিখাতের রফতানি আয় ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। সেই রফতানি আয় এখন দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই কর অব্যাহতি উঠিয়ে নেওয়া হলে এই খাত সংকটের মধ্যে পড়বে। আরও পাঁচ বছর কর অব্যাহতি থাকলে এই খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব।
পলক আরও বলেন, দেশের সফটওয়্যার খাত এখন বিশ্বমঞ্চে মাত্র নিজেদের মেলে ধরছে। এ ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি উঠিয়ে নিলে সম্ভাবনাময় এ খাত সংকটের মুখে পড়বে। তাই অন্তত আরও পাঁচ বছর এই খাতে কর অব্যাহতি থাকা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আইসিটি খাতের কর অব্যাহতির বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তিনি বললেন, আমরা তো চিরকালের জন্যে কর অব্যাহতি দিতে পারি না। আমি বললাম, সেমিনারে তারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে তারা চিরকালের জন্য (কর অব্যাহতি) চাচ্ছে না। তারা বলেছে, তাদের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- সফটওয়্যারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের শপথ বেসিসের নতুন কমিটির
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, হঠাৎ যদি এটা (কর অব্যাহতি) তুলে দেন, তাদের ব্যবসায় সমস্যা হবে। আপনি আমাদের বলে দেন যে আগামী তিন বছর বা পাঁচ বছর (কর অব্যাহতি সুবিধা) থাকবে। একপর্যায়ে স্বাভাবিক করহার প্রযোজ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী তখন আমার সঙ্গে মোটামুটি একমত হয়েছেন। এখন দেখি, বাজেটে কী হবে সেটা নিয়ে আমি আবার উনার সঙ্গে কথা বলব।
আগামী বাজেটে কর অব্যাহতি বহাল রাখার আশাবাদ জানিয়ে সালমান এফ রহমান আরও বলেন, যেহেতু উনি (প্রধানমন্ত্রী) এ কথাটা বলেছেন যে ধীরে ধীরে আইসিটি খাতের কর স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে, তাই আমি আশা করি যে আগামী বাজেটে (২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট) আইসিটি খাতে কর ধার্য করা হবে না। আমি আশা করি, এই বাজেটে একটা পরিকল্পনা দেওয়া হবে যে আইসিটি খাতে দুই বছর বা চার বছর পর কী হবে। আশা করছি আমরা সেই কথাটা বা পরিকল্পনাটা জানতে পারব।
অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশীয় সফটওয়্যারের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে বেসিসের নতুন কমিটি। রাসেল টি আহমেদ বেসিসের সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় অনুষ্ঠানে বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকা ও সহসভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান তার হাতে বেসিসের পতাকা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ
আইসিটি খাত কর অব্যাহতি জুনাইদ আহমেদ পলক বেসিস বেসিস নির্বাচন বেসিস শপথ স্টার্টআপ তহবিল স্টার্টআপ ফান্ড