জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নজরুল পুরস্কার প্রদান
২৩ মে ২০২৪ ১৫:৪০
ঢাকা: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একক বক্তৃতা, নজরুল পুরস্কার প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে বাংলা একাডেমি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আগামী ১১ই জ্যৈষ্ঠ/২৫ মে।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোবারক হোসেন। ‘নজরুলের চেতনালোক: আমাদের অবলোকন কবির কথন’ শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
নজরুল পুরস্কার প্রদান
নজরুল সাহিত্যের গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানাকে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত নজরুল পুরস্কার ২০২৪-এ ভূষিত করা হয়। অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা প্রবাসে অবস্থান করায় তার পক্ষে নিকটাত্মীয়া ডা. মোমেনা খাতুনের হাতে নজরুল পুরস্কার ২০২৪-এর সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট এবং পুরস্কারের অর্থমূ্ল্য দুই লাখা টাকার চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি এবং মহাপরিচালক।
প্রবাস থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জ্ঞাপন করে অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘নজরুল আমার সারাজীবনের চর্চা ও সাধনার বিষয়। বাংলা একাডেমির প্রদত্ত নজরুল বিষয়ক পুরস্কারপ্রাপ্তি আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয়। এ পুরস্কার নজরুল গবেষণার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।’
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
অনুষ্ঠানে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী ডালিয়া আহমেদ এবং নজরুলগীতি পরিবেশন করেন শিল্পী রওশন আরা সোমা, লীনা তাপসী খান এবং প্রদীপ কুমার নন্দী।
নজরুল বিষয়ক একক বক্তৃতা
মোবারক হোসেন বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বহুমাত্রিক প্রতিভা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর জীবন ও কর্ম আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।
অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম অন্যায় ও অসাম্যের অবসান চেয়েছিলেন। ধর্মের নামে বা রাজনীতির নামে যত অনাচার সংঘঠিত হয়, সেসবের বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসাই তাঁর বিদ্রোহী সত্তাকে গঠন করেছিল। হিন্দু-মুসলমানের ঐক্য ও সম্প্রীতির ওপর নজরুল বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ নজরুলকে সকল ধর্মের মানুষ সমানভাবে গ্রহণ করেছিল।’
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘নজরুল আমাদের বাঙালি চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আমাদের সামনে যে দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ