Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৩ মে ২০২৪ ২৩:৪৭

ঢাকা: আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও নানা ধরনের বৈষম্য রয়ে গেছে। সামগ্রিকভাবে এ খাতে তিন ধরনের বৈষম্য লক্ষ করা যায়, যা সমাধান করা উচিত। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সব ধরনের বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ওয়াশ খাতের বরাদ্দ এডিপি বৃদ্ধির আকারের সমানুপাতিক বা উচ্চতর হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। পিপিআরসি, ওয়াটারএইড, ফানসা, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং সংস্থাসগুলোর ফোরাম বা প্লাটফর্ম যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ও পিপিআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ৬ নম্বর লক্ষ্য সবার জন্য নিরাপদ পানীয় জল ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যমাত্রা সঠিক সময়ে অর্জন নিশ্চিত করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বৃদ্ধির হার ও উন্নয়ন বাজেটের সঙ্গে ওয়াশ খাতের বরাদ্দকেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন ও সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। চর, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলসহ জলবায়ুগত ঝুঁকির অধীন সুবিধাবঞ্চিত এলাকা ও নগরগুলোর মধ্যে বরাদ্দ বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ওয়াশ খাতের জন্য এডিপির বরাদ্দ ওঠানামা এবং কম আনুপাতিক বৃদ্ধির প্রবণতা দেখায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাতে (এমডিজি) ওয়াশ খাতের তুলনায় এসডিজি যুগের ওয়াশ খাতের লক্ষ্যমাত্রা আরও জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং, এখন নিরাপদ খাবার পানি এবং নিরাপদ স্যানিটেশনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ওয়াশ খাতের বেশ প্রশংসনীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়, যদিও বিশ্লেষণাত্মক রিপোর্ট দেখায় যে প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক এডিপির আকার বৃদ্ধির হারের সমানুপাতিক ছিল না। এডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ওয়াশ খাতের বরাদ্দের জন্য ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ খুবই কম। ওয়াশ খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনুপাতের তুলনায় এই ধরনের কম বৃদ্ধি এসডিজি ৬-এ সরকারের প্রতিশ্রুতি সময়মতো অনুধাবনের বেলায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ওয়াশ খাতের জন্য নেওয়া বরাদ্দ (৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ) এডিপির বর্ধিত (৭ দশমিক ৪ শতাংশ) আকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে পারেনি। ওয়াশ খাতের এমন অনুপাতের চেয়ে কম বৃদ্ধি সরকারের এসিডিজ৬ এবং জাতীয় অগ্রাধিকার লক্ষ্যমাত্রার প্রতিশ্রুতি, যেমন— শতভাগ সুপেয় খাবার পানি ও শতভাগ নিরাপদে পরিচালিত স্যানিটেশন ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এ ছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আগের অর্থবছরগুলোর মতো এ বছরেও কিশোরী ও প্রজননক্ষম নারীদের মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালসহ স্থানীয় পর্যায়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রির ওপর নির্ধারিত সব ধরনের শুল্ক ও কর শতভাগ মওকুফ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ওয়াশ খাত বাজেট বাজেট ২০২৪-২৫

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর