ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় বরিশালে প্রস্তুত ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র
২৫ মে ২০২৪ ২১:১৮
বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করাসহ নদীর তীরবর্তী মানুষদের সতর্কতা বার্তাও প্রচার শুরু করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়। এতে বিষয়গুলোর কথা জানান জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।
প্রয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি ভবন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চাল ছাড়াও পর্যাপ্ত অন্যান্য শুকনো খাবারেরও মজুদ রাখা হয়েছে। জেলায় নগদ বরাদ্দ হয়েছে ৫ লাখ টাকা। যা উপজেলা পর্যায়ে বণ্টন করা হয়েছে। এতে জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো সামগ্রী ক্রয় করা যাবে। তাৎক্ষণিক মন্ত্রণালয় থেকে আরও বরাদ্দ আনা যাবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও প্রাণীদের নিরাপত্তায় আগাম নজরদারি রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে মানুষ ও প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সিভিল সার্জনের বরাতে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জেলার ১০ উপজেলায় ৯৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, আনসার, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিগত দিনের ন্যায় সহযোগিতা করবে।’
সভায় জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বরিশালে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যার মধ্যে ৯৮.৫ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাকি ধান অল্প সময়ের মধ্যে কাটা হবে। তাই ফসলের ক্ষতির শঙ্কা কম রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিঞা জানান, তাদের স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে। সতর্ক সংকেত চার হলে স্বেচ্ছাসেবীরা পতাকা উত্তোলন করবে। একইসঙ্গে মাইকিং করবে।
কোস্টগার্ডের মুখপাত্র আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, তারা ঝড়ের সতর্কতা হিসেবে কীর্তনখোলা নদীর ডিসিঘাট এলাকায় মাইকিং করেছেন।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘনীভূত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হলে খুলনা ও খেপুপাড়ার মাঝে আঘাত করবে। এখনো সঠিক গতিপথ নির্ধারিত হয়নি।’
প্রসঙ্গত, বরিশাল জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মিলিয়ে ৫৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। এছাড়াও বিভাগজুড়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
সারাবাংলা/এমও