জব্দ হচ্ছে বেনজীরের আরও ১১৩টি দলিলের সম্পদ, গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট
২৬ মে ২০২৪ ১৮:৩৩
ঢাকা: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা আরও ১১৩টি দলিলের সম্পদ এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দ (ক্রোক) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এই আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদের সম্পদ ক্রোক ও জব্দ না করা গেলে তা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। পরে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেন, ‘মানি লন্ডারিং আইন ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুদক বিধিমালা ২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী সব স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হলো।’
ক্রোক হওয়া সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না এবং জব্দ করা ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেওয়া গেলেও উত্তোলন করা যাবে না। সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার, এসি ল্যান্ড বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ক্রোকের নির্দেশ পাওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১১৯টি দলিল। যার মধ্যে আছে ঢাকায় গুলশানের ২০৪২ স্কয়ার ফিটের দুটি এবং ২০৫৩ স্কয়ার ফিটের দুটিসহ পৃথক ৪টি ফ্ল্যাট। সাভারের ৩ কাঠা জমি, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ১১৩টি জমির দলিল, একই জেলার শিবচরের ১টি দলিল রয়েছে।
এছাড়া তার ৪টি নিজ নামীয় কোম্পানি, ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট। ১৫টি আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গোপালগঞ্জে তার ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত ২৩ মে বেনজীরের নামে গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও কক্সবাজারের ৮৩টি দলিলে বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন একই আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও