যান্ত্রিক ত্রুটি: বন্দরের প্রবেশমুখে আটকে গেল জাহাজ
২৮ মে ২০২৪ ১৭:৫৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর বহির্নোঙ্গর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে প্রবেশের সময় একটি জাহাজ কর্ণফুলী নদীতে আটকে গেছে। চীনের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজটিকে উদ্ধার করতে তিনটি টাগবোট কাজ করছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে কর্ণফুলী নদীতে বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। ‘এমভি শি জি ফেং’ জাহাজটি চীন থেকে স্টিলের কয়েল নিয়ে আসছিল। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট ‘ট্রাস্ট শিপিং লিমিটেড’।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাহাজটির স্টিয়ারিং গিয়ারে ত্রুটি ছিল। সেটার হুইল বয়ার চেইনের সঙ্গে আটকে গেছে। বহির্নোঙ্গর থেকে জেটিতে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে। বন্দরের কয়েকটা টাগবোট ঘটনাস্থলে গেছে। সেটিকে উদ্ধার করে জেটিতে আনার চেষ্টা চলছে।’
ট্রাস্ট শিপিং লিমিটেডের স্থানীয় প্রতিনিধি রিয়াজ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাহাজটি গত ২০ মে স্টিলের কয়েল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল। রোববার ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব জাহাজ বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়ায় বাকি পণ্য খালাস করা যায়নি। আজ (মঙ্গলবার) জাহাজটি বন্দরে যাওয়ার সময় প্রোপেলারের সঙ্গে বয়ার চেইন আটকে যায়। সেটা উদ্ধারে কাজ চলছে।’
এর আগে, গত শনিবার (২৫ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতর ৬ নম্বর বিপদসংকেত জারির পর নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ অর্থাৎ বিপৎসংকেত জারি করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পর নয় নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির পর বন্দর তাদের নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-ফোর’ জারি করে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের জারি করা বিশেষ নির্দেশনায় জেটিতে থাকা সব জাহাজকে জোয়ার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জেটি ত্যাগের কথা বলা হয়েছিল, যার মধ্যে ‘শি জি ফেং’ একটি। বহির্নোঙ্গরে থাকা সব জাহাজকে রাত থেকেই গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দিতে বলা হয়। বন্দরের জেটি ও ইয়ার্ডে কনটেইনার পরিবহন ছাড়া বাকি সব ধরনের কার্যক্রম শনিবার রাতেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
রোববার (২৬ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে ১৬টি জাহাজ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে উজানে এবং বহির্নোঙ্গর থেকে ৪৯টি জাহাজ গভীর সাগরে চলে যায়।
সোমবার (২৭ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কমে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ফেরত আনার উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত ১২টি জাহাজ জেটিতে ভিড়েছে।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম