Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে হলে ভোট আয়োজন সহজ হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ জুন ২০২৪ ১৬:১২

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: ভয়েস অব আমেরিকা

ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন যদি ধাপে ধাপে আয়োজন করা যায় তাহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং আয়োজন আরও সহজ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২ জুন) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই তথ্য জানান।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা টিআইবিকে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা যায় কিনা। কারণ, ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে নির্বাচন আরও বেশি সুষ্ঠু হবে।’

তিনি বলেন, ‘টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও তার কয়েকজন সহকর্মী এসেছিলেন। আমরা পুরো কমিশন তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরাই মূলত তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।’

সিইসি বলেন, ‘টিআইবির সঙ্গে নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তবে ফেয়ার হয়েছে। আর দক্ষতার অভাব রয়েছে। সেটা উনারা জোর দিয়ে বলেছেন। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা অনেকটাই রাজনৈতিক। রাজনৈতিক সমস্যা নিরসন না হলে, নির্বাচন ব্যবস্থা স্থিতিশীল হবে না। রাজনৈতিক সমাঝোতা হয়ে গেলে নির্বাচনটা আরও সুন্দর হতে পারে।’

নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ব্যক্তির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নির্বাচন পদ্ধতিগতভাবে উন্নয়ন করা নিয়ে কথা হয়েছে। যেমন- একটা হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস, আরেকটা হচ্ছে সিস্টেম অব ইলেকশন।’

তিনি বলেন, ‘টিআইবির প্রতিনিধিরা বলেছেন, প্রপোরশনাল বলে একটা সিস্টেম আছে, আনুপাতিক হারে সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা। যেটা আমাদের সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে আছে; সেই সিস্টেমের কথা আমরাও বলেছি, উনারাও বলেছেন। আমরা বলেছি এগুলো নিয়ে আপানারা গবেষণা করতে পারেন।’

বিজ্ঞাপন

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আর আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনটা যদি ধাপে ধাপে করা যায়, তাহলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ভোটকেন্দ্রে অধিক সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা যাবে।’

ইভিএমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টিআইবিকে আমরা বলেছি, আমাদের যে প্রযুক্তি ইভিএম- সেটা নিয়ে অনাস্থা ছিল, এখনো আছে। আমারা এখনো বলছি, ইভিএমে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে, এখানের ভোট ওখানে চলে গেছে। এই মেশিনে সেটা একেবারেই অসম্ভব।’

প্রকট রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো কোনো আলাপ-আলোচনা দেখছি না। তাদের মধ্যে বৈরিতা অত্যন্ত প্রকট। এত প্রকট বৈরিতা নিয়ে এগোনো খুব কঠিন হবে। তবে এই বৈরিতা পরিহার করে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।’

বৈঠকে টিআইবির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ মোট পাঁচ জন অংশ নেন। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম অংশ নেন।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

নির্বাচন কমিশন সিইসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর