‘২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে বাংলাদেশ’
৫ জুন ২০২৪ ১৮:৪৫
সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে। এটি নিশ্চিতভাবে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম উল্লেখযোগ্য অর্জন।
বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী কিছু অভিঘাত বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধার অবসান ঘটবে। অপরদিকে, অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিকাশের মাধ্যেমে কিছু সুবিধা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার রূপকল্প ২০৪১ প্রণয়ন করেছে। এই রূপকল্পের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া ও চরম দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রূপকল্প ২০৪১ তথা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১১-২০৪১ মোট চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে, যার প্রথমটি হলো ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে সরকার ‘৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫)’ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-সালের মূল লক্ষ্যসমূহ, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, কোডিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কিছু কার্যকর কৌশলেরও সুপারিশ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি, কর-জিডিপি বৃদ্ধি, প্রবাসী আয় পাঠানোর হার বৃদ্ধি, রফতানি আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য রফতানি পণ্য ও রফতানি গন্তব্যস্থান বহুমুখীকরণ, বিদ্যমান গন্তব্যে রফতানির পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আহরণের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে এখন থেকেই বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) এবং দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি ত্বরান্বিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছে। এ ছাড়া, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে ডাব্লিউটিও, আঙ্কটাড, ইউএনডিপিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম