পরিবেশ সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের
৮ জুন ২০২৪ ২৩:৫৯
ঢাকা: পরিবেশ সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ও পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু সেই বরাদ্দ ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট খাত নির্ধারণ করা হয়নি। বাজেট বাস্তবায়নে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে যুক্ত করতে হবে।
শনিবার (৮ জুন) পিএসডিআই কনসালটেন্সি, এসেড হবিগঞ্জ ও শেয়ার দ্যা প্লানেট আয়োজিত ‘পরিবেশ সুরক্ষা ও বাসযোগ্য সবুজ প্রথিবীর জন্য প্রয়োজন বহুমুখী ও সমন্বিত উদ্যোগ’ শীর্ষক অনলাইন সংলাপে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
পিএসডিআই কনসালটেন্সি’র চেয়ারপারসন মো. ইসহাক ফারুকীর সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তৃতা করেন অ্যাসেড হবিগঞ্জের প্রধান নির্বাহী জাফর ইকবাল চৌধুরী, ফেইথ ইন একশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, উপমা নারী কল্যাণ সংস্থা কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক পাপিয়া দে, পিপলস ভয়েস চট্টগ্রামের সভাপতি শরীফ চৌহান, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ফ্যাকাল্টি কো-অর্ডিনেটর সাইং সাইং উ নিনি, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা খাইরুল মামুন মিন্টু এবং উন্নয়ন গবেষক ও নৃবিজ্ঞানী তুহিন সরকার।
উন্নয়ন গবেষক তুহিন সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল সম্পুর্ণভাবে ভূ-রাজনৈতিক জটিলতার শিকার। ফলে ক্রমাগত নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। যা সম্পুর্ণভাবে কৃষিঅর্থনীতি ও মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলছে। উত্তরাঞ্চরের কৃষির অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে তিস্তা নদী। তিস্তার পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ক্রমান্বয়ে মরুময়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।’
পাপিয়া দে বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ দীর্ঘদিনের। তাদের অনুপ্রবেশের কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস হয়েছে, হাতি চলাচলের পথ নষ্ট হয়েছে, পাহাড় ধ্বংংস করা হয়েছে, কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে। আর ওই অঞ্চলে অপরিকল্পিত উন্নয়নে এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।’ পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যাপকভিত্তিক সচেতেনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জাফর ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ বিপর্যয়ের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলের মধ্যে হাওর এলাকা অন্যতম, অথচ এটি সবচেয়ে উপেক্ষিত। মোট খাদ্যশস্যের মোট পাঁচ ভাগের একভাগ আসে হাওর এলাকা থেকে। দেশের খাদ্যে চাহিদা মেটানোর অন্যতম সোর্স হচ্ছে হাওর। হাওরের নির্দিষ্ট একটি এলাকা প্রতিবছরই বিশেষ সময়ে পনির নিচে থাকে। যা মূলত প্রতিবেশী দেশের মানুষের প্রকৃতির ওপর অত্যাচারের কারণে। সামগ্রিকভাবে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় ঘাটতি আছে। নদী ও খালে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। উজানের পানির কারণে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যাতে প্রায় ২৫ শতাংশ খাদ্যশস্য নষ্ট হচ্ছে। যা সার্বিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলছে। এজন্য পরিবেশ সুরক্ষায় খাল-বিল পুনঃখননের ব্যাবস্থা করা দরকার।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম