‘বিমানের সিট ফাঁকা থাকলেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ সত্য নয়’
১৩ জুন ২০২৪ ২৩:৫৭
সংসদ ভবন থেকে: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, সিট ফাঁকা থাকলেও বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না; বেশিরভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে বিমান উড্ডয়ন করে থাকে- এমন অভিযোগও সত্য নয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।
বিমান পরিবহনমন্ত্রী জানান, যেকোনো এয়ারলাইন্স ব্যবসায় ভরা মৌসুম ও মন্দা মৌসুম থাকে। যখন ফ্লাইটে চাপ কম থাকবে, তখন কিছু সিট খালি থাকতে পারে। যা সারা বছরের চিত্র নয়। আসন খালি থাকার পরও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটা ঢালাও অভিযোগ।
ফারুক খান জানান, অনেক সময় যাত্রীরা কনফার্ম টিকিট করেও যথাসময়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে না পারা, যাত্রীদের অনেকের ভুয়া ভিসা এবং ডকুমেন্টস থাকায় এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি জটিলতার কারণেও অনেক সময় আসন ফাঁকা থাকে। প্রসঙ্গত কিছু রুটে লোড প্যানাল্টি থাকায় কিছু সংখ্যক সিট অবিক্রিত রাখা হয়। সেজন্যয সিট ফাঁকা থাকে। সুতরাং ‘সিট ফাঁকা থাকলেও বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না; বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে বিমান উড্ডয়ন করে থাকে’ উক্ত কথাটি সত্য নয়।
তিনি বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, জিডিএস, মোবাইল অ্যাপ, কল সেন্টার এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও যেকোনো অনুমোদিত দেশি-বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্ট থেকে টিকিট কিনতে পারেন। বিমানের কোনো টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করা সম্ভব নয়। ফলে কারোর পক্ষে একসঙ্গে অনেক টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। কোনো এজেন্সি চাইলেই যাত্রীর তথ্য ছাড়া কোনো টিকেট বুকিং করতে পারবে না। সেইসঙ্গে কোনো এজেন্সি মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য দিয়ে বুকিং করলে সেটি ধরে জরিমানাসহ অন্যান্য পদক্ষেপও নেওয়া হয়। এ ছাড়াও প্রতিটি টিকেটে বুকিং সময়সীমা দেওয়া থাকে। যার মাঝে টিকিট কেনা না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।’
সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রুট বা গন্তব্যভেদে টিকিট মূল্য বিভিন্ন হয় থাকে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের বিদ্যমান যোগান ও চাহিদা, প্রতিযোগিতামূলক বাজার, ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ নীতি, পরিষেবা প্রদান প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে টিকিট মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম