Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রথম ধাপে ৪ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করল চসিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২৪ ২১:৪২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কোরবানির পর ঘোষিত সময় বিকেল পাঁচটার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরী প্রায় বর্জ্যমুক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এসব বর্জ্য সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে যেসব পশু কোরবানি হয়েছে সেগুলোর। তবে দুপুরের পরে কোরবানি হওয়া পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ রাত সাড়ে আটটার দিকেও চলছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সোমবার (১৭ জুন) কোরবানির পর সকাল ৮টা থেকে পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে কোরবানির বর্জ্য ও পুরনো খড়কুটোসহ বিভিন্ন আবর্জনা সংগ্রহ শুরু করেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। এক ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো নিয়ে সড়কে নির্ধারিত স্থানে জমা করতে শুরু করেন। সকাল ৯টার পর থেকে ৩২২টি প্রাক নিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মী বর্জ্যগুলো সংগ্রহ করে আবর্জনাগারে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটানো শুরু করেন।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুপুরের মধ্যে ৯৫ ভাগ পশু কোরবানি হয়ে গেছে। কসাই সংকটের কারণে বাকি পশুগুলো দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কোরবানি হয়েছে। একটা সংকট আছে, অলিগলিতে হঠাৎ করে একটা কোরবানি হলো আর বর্জ্যগুলো ফেলা হলো। অথচ মাত্র দশ-পনেরো মিনিট আগেই হয়তো সেই গলি পরিষ্কার করে এসেছেন আমাদের কর্মীরা। এভাবে কোরবানির কারণে বর্জ্য অপসারণে আমাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তবে সকাল ৯টা থেকে কাজ শুরু করে আমরা বিকেল পাঁচটার মধ্যে সকালে কোরবানি হওয়া পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করে ডাম্পিংয়ে নিয়ে গেছি। বিকেল পাঁচটার মধ্যে আমাদের হিসেবে তিন হাজার ৭০০ থেকে চার হাজার মেট্রিকটনের মতো বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এরপর যেসব পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে, সেগুলোর হিসেব পেতে সময় লাগবে।’

কাউন্সিলর মোবারক আলী জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকেও বিভিন্ন অলিগলিতে দুপুরের পর কোরবানি হওয়া পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছিল। কোথাও বর্জ্য পড়ে আছে কি না, সেটা দেখার জন্য টহলে রাখা হয়েছে একাধিক টিম।

চট্টগ্রাম সিটি করেপারেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সোমবার বিকেলে নগরীর দামপাড়া, আলমাস মোড়, কাজির দেউড়িসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বর্জ্য অপসারণের কাজ পরিদর্শন করেন। বিকেল সাড়ে চারটায় তিনি প্রথম ধাপের বর্জ্য অপসারণের কাজ সম্পন্নের ঘোষণা দেন।

এসময় মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের চার হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করেছে। বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যেই আমরা নগরীকে প্রায় বর্জ্যমুক্ত করে ফেলেছি। তবে নগরীতে অনেকে দুপুর বা সন্ধ্যায়ও কোরবানি দেন, আবার কিছু প্রান্তিক এলাকায় পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা কিছুটা কঠিন। এসব বর্জ্য রাত ৮টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে কাজ চলছে৷ নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণে দামপাড়ায় কন্ট্রোল রুম চালু আছে৷ কোথাও কোনো কোরবানির বর্জ্য থাকলে আমাদের জানালে তা পরিষ্কার করা হচ্ছে৷’

মেয়রের সঙ্গে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর মোবারক আলী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, আকবর আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসান, মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম ছিলেন।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগরীকে ছয়টি জোনে ভাগ করে দু’জন কাউন্সিলর মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন। নগরীর উত্তর-দক্ষিণের ২২ টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হয়েছে নগরীর আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে। পতেঙ্গা-বন্দর এলাকার বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হয়েছে হালিশহরে আবর্জনাগারে।

সারাবাংলা/আরডি/আইই

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর