বাংলাদেশ একটা রত্ন খুঁজে পেয়েছে— বললেন দিনেশ কার্তিক
১৮ জুন ২০২৪ ১৮:৩৫
গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটি জিতে বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ অ্যান্টিগায়। এরই মধ্যে অ্যান্টিগায় পৌঁছেও গেছে বাংলাদেশ দল। এবারের বিশ্বকাপে রান কম উঠছে, বোলাররাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণও ভালো করেছে। মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেনরা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন গ্রুপ পর্বে।
এর মধ্যে রিশাদ হোসেনকে মনে ধরেছে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের। রিশাদ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছেনও। শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দারুণ এক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ম্যাচসেরা পুরস্কারটা উঠে রিশাদের হাতে। শ্রীলংকা যখন ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছিল তখন দুই ওভারের এক স্পেলে ৬ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন রিশাদ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩২ রান খরচায় তুলে নেন ১ উইকেট। এই ম্যাচেও তার দ্বিতীয় স্পেলটা ছিল কার্যকারী। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও ম্যাচের মোড় ঘুড়ানো পারফর্ম করেছেন রিশাদ। ৩৩ রান খরচ করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। নেপালের বিপক্ষে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। যেটা ১০৬ রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে জিততে বড় সহায়তা করেছে।
রিশাদ লেগস্পিনে বারবার কাবু করছেন ব্যাটারদের। কখনো টার্নে কখনো বল লাফিয়ে তুলে ব্যাটারদের বোকা বানাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিচ্ছেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দুর্দান্ত এক রিশাদকে খুঁজে পেয়েছে বলছেন কার্তিক।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের গ্রুপ পর্ব রিভিউতে দল নিয়ে আলোচনায় রিশাদকে নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় তারকা। বাংলাদেশের সেরা পারফরমার বাছতে গিয়ে কার্তিক বলেছেন, ‘আমার পছন্দ হবে একটু ভিন্ন রকমের। এটা হচ্ছে রিশাদ হোসেন। সে যেভাবে বল করেছে তাতে আমি ভীষণ মুগ্ধ। উইকেট থেকে ছোবল আদায় করে নিয়েছে। সে হয়ত খুব বেশি উইকেট নেয়নি, কিন্তু সে দেখিয়েছে সে অনেক খুবই ভালো প্রতিভা’।
একটা মানসম্পন্ন লেগস্পিনারের জন্য অনেকদিন যাবতই হাহাকার করেছে বাংলাদেশ। রিশাদের মাধ্যমে সেই হাহাকার কমেছে। দিনেক কার্তিক বলেন, ‘আপনি বাংলাদেশ থেকে রিষ্ট স্পিনার বেরিয়ে আসতে খুব একটা দেখবেন না। আমার মনে হয় রিশাদের মাঝে তারা একটা দুর্দান্ত কিছু খুঁজে পেয়েছে।’
সারাবাংলা/এসএইচএস