জাহাজ থেকে খালাসের সময় চুরি করা গমসহ নৌকা আটক
২২ জুন ২০২৪ ১৮:২৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে ১২০০ কেজি গমসহ একটি নৌকা আটক করা হয়েছে। নৌ পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেল থেকে আমদানি করা এসব গম খালাসের সময় চুরি করে অথবা পরস্পরের যোগসাজশে নৌকায় তোলা হয়েছিল। পরে এসব গম খোলা বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল।
শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৯ টার সময় কর্ণফুলী থানার বদলপুরে মেরিন একাডেমি ঘাটসংলগ্ন খালের মুখ থেকে গমসহ নৌকা জব্দ করা হয় বলে জানান সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ।
নৌ পুলিশ জানায়, বন্দরের বর্হিনোঙ্গর থেকে গমবোঝাই ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাটি কর্ণফুলী নদীতে ফিরছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌ পুলিশের একটি টিম নৌকাটিকে ধাওয়া করে। এ সময় নৌকাটি মেরিন একাডেমিসংলগ্ন একটি খালের মধ্যে রেখে দুজন বদলপুর গ্রামের ভেতর পালিয়ে যায়।
নৌ পুলিশের সদস্যরা নৌকায় তল্লাশি করে ১২০০ কেজি গম জব্দ করে। মোট ৩০ বস্তায় প্রতিটিতে ৪০ কেজি করে গম ছিল। কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা হিসেবে গমের দাম প্রায় ৪২ হাজার টাকা।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি মো. একরাম উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘নৌকাটি সাগর থেকে প্রবেশের পথে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এলে আমরা সেটিতে তল্লাশির জন্য সংকেত দিই। তখন নৌকা নিয়ে তারা আমাদের টিমকে এড়ানোর চেষ্টা করলে আমরা ধাওয়া দিই। এক পর্যায়ে খালের মুখে নৌকা রেখে দুজনকে পালাতে দেখা যায়। রাত হয়ে যাওয়ায় আমরা গ্রামের ভেতরে অভিযান চালাইনি।’
‘পরে জানতে পারি, নৌকার মালিক কর্ণফুলী উপজেলার দক্ষিণ শাহ মীরপুর গ্রামের মো. ইদ্রিস নামে একজন। তাকে এবং অজ্ঞাতনামা আরেকজনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বর্হিনোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারেজ জাহাজে খালাসের সময় আমদানি করা গমগুলো নৌকায় তোলা হয়েছে। চুরি করে অথবা অন্যভাবে নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রির জন্য সেগুলো নৌকায় জমা করা হয়েছিল।’
কোন জাহাজ থেকে গমগুলো নৌকায় নেওয়া হয়েছে এবং আরও কারা এর সঙ্গে জড়িত, সেটা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান ওসি একরাম উল্লাহ।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম