কর্ণফুলীতে নিখোঁজ নৌকাযাত্রীর লাশ উদ্ধার
২৩ জুন ২০২৪ ২০:৪৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে ফেরির সঙ্গে নৌকার ধাক্কায় কর্ণফুলী নদীতে পড়ে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়েছে।
রোববার (২৩ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরীর হামিদচরের বিপরীতে বোয়ালখালী অংশে নদীতে লাশটি ভেসে আসে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ।
মৃত আশরাফ উদ্দিন কাজল (৫৩) কর্ণফুলী নদীতীরের বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী এলাকার বাসিন্দা। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাচিত পরিচালক ছিলেন।
ওসি একরাম উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দূরে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হামিদচর এলাকার বিপরীতে বোয়ালখালী অংশে নদীতে লাশটি ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করেন। এরপর আমাদের খবর দেয়া হয়। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশের সুরতহাল সম্পন্ন হচ্ছে। এরপর প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম প্রান্ত নগরীর চান্দগাঁও থানা কালুরঘাট এলাকায় ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকার দুই যাত্রী নদীতে পড়ে যান। স্থানীয়রা নুর করিম নামে একজনকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করেন। নিখোঁজ আশরাফ উদ্দিন কাজলকে উদ্ধারে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শনিবার রাত পর্যন্ত টানা তল্লাশির পর রোববার সকালে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল মিলে তল্লাশি চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য এবং নৌ পুলিশের কাছে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে জানা গেছে, যাত্রীবোঝাই নৌকাটি কালুরঘাট সেতুর পূর্ব পাড় (বোয়ালখালী অংশ) থেকে পশ্চিম পাড়ে (শহর অংশ) আসে। পশ্চিম পাড়ে একটি ফেরি যানবাহন নিয়ে পূর্বপাড়ের দিকে রওনার জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। নৌকাটি যাত্রী নামানোর জন্য ফেরির কাছাকাছি আসে। এসময় নৌকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় নৌকার সামনে দাঁড়ানো দুজন পানিতে পড়ে যায়।
কর্ণফুলী নদীপথে চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে দক্ষিণের সংযোগ সৃষ্টিকারী শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু দিয়ে সংস্কার কাজের জন্য গত বছরের ১ আগস্ট থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ সেতুটিকে সংস্কার করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন ও সড়কযান চলাচলের জন্য ঝুঁকিমুক্ত করছে।
সেতু বন্ধ থাকায় বিকল্প পথ হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নদীতে ফেরি চালু করে। শুরু থেকেই ফেরি নিয়ে দু’পাড়ের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। নদীতে জোয়ার এলে ফেরির পল্টুন ডুবে যায়। বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল। এসময় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপারে বাধ্য হয় লোকজন। এর আগেও ফেরিতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
সারাবাংলা/আরডি/একে