ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা
২৪ জুন ২০২৪ ১০:৫৮
গত রাতে ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় এই ম্যাচ ছিল অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রথমে বোলিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্প রানে বেধে ফেলে কাজটা সহজ করে রেখেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা। বৃষ্টিবিঘ্নিত রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারাই। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৩ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে টার্গেট ছিল ১৩৬। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় প্রোটিয়ারা। শূন্য রানে ফেরেন রেজা হেনড্রিকস। দারুণ শুরুর আভাস দিয়েও ১২ রানে ফেরেন ডি ককও। ১৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টিতে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নেমে আসে ১৭ ওভারে।
১২৩ রান তাড়া করতে নেমে মার্করাম-স্টাবস জুটি বেশ অনায়াসেই এগুচ্ছিলেন। ১৮ রান করা মার্করামকে ফিরিয়ে ধাক্কাটা দেন আলজারি জোসেফ। ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে রান অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছিলেন ক্লাসেন। তবে জোসেফ ফিরিয়েছেন তাকেও।
এরপর আক্রমণে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রস্টন চেজ। তিন উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবিশ্বাস্য এক জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তিনি। মিলার, স্টাবস,মহারাজকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে পুরো স্টেডিয়ামকে উল্লাসে ভাসান চেজ।
তবে শেষরক্ষা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অষ্টম উইকেটে কাগিসো রাবাদাকে সাথে নিয়ে মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত এক ইনিংসে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিতে তোলেন ১৪ বলে ২১ রান করা ইয়ানসেন।
দিনের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আগের ম্যাচের নায়ক শাই হোপ আজ ফিরেছেন শূন্য রানে। প্রথম ওভারেই তাকে ফেরান ইয়ানসেন। নিকোলাস পুরানও করেছেন মাত্র ১ রান। ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই অবস্থায় দলের হাল ধরেন কাইল মেয়ার্স ও রস্টন চেজ। তৃতীয় উইকেটে এই জুটি যোগ করে ৮১ রান। বেশ কয়েকটি ক্যাচ ছেড়ে ও মিস ফিল্ডিংয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল প্রোটিয়ারাও। এই জুটির সুবাদেই বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে তাদের সেই স্বপ্নকে সত্যি হতে দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন অ্যাটাক। তাবারিজ শামসি ও কেশভ মহারাজের ঘূর্ণি জাদুতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিডল অর্ডার। ৩৪ বলে ৩৫ রান করা মেয়ার্সকে ফিরিয়েছেন শামসি। দলীয় সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৫২ করা চেজও প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন শামসির বলেই। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার তিনিই। অন্য প্রান্তে মহারাজও কিপটে বোলিং করে রানের গতি বাড়াতে দেননি।
শেষের দিকে দুই ছক্কা মেরে ঝড় তোলার আভাস দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। তবে নরকিয়ার দারুণ এক থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
সারাবাংলা/এফএম