১৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয় হিলি স্থলবন্দরে
২ জুলাই ২০২৪ ২১:৫৫
দিনাজপুর: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি। করোনার পর থেকে রাজস্ব আদায়ে কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তবে সদ্যবিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিগত বছরগুলোর তুলনায় আমদানি কম হলেও রাজস্ব আয়ে প্রভাব না পড়ায় বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন বিগত অর্থ বছরের তুলনায় সদ্য বিদায়ী অর্থ বছরে শুল্ক যুক্ত পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১২ লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছিল যেখানে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে এনবিআর ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা যার বিপরীতে আদায় হয় মাত্র ৪২৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা ঘাটতি রয়ে যায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকার মতো আর সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পণ্য আমদানি হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টন পণ্য আর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২৭ কোটি ১২ লাখ টাকা যেখানে কাস্টমস আদায় করেছে ৬৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আমদানি কম হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে এই অর্থবছরে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয় পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা,কাঁচা মরিচ, গমের ভূষি, মসুর ডাল, ছোলা, এলাচ, পাথর, নারিকেল, তেঁতুল বীজ, চাল, চিটাগুড়সহ নানা পণ্য।
হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নার্গিস আক্তার বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বিগত সময়ের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ অনেক কম। তবে আমদানি কম হলেও আমরা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এর মূল কারণ হলো শুল্ক যুক্ত পণ্য বেশি আমদানি। জিরা আমদানি থেকে রাজস্বের বড় একটি অংশ অর্জন সম্ভব হয়েছে।’
বন্দর দিয়ে শুল্ক যুক্ত পণ্য যত বেশি আমদানি হবে রাজস্বের পরিমাণ তত বাড়বে বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/একে