Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টানা বৃষ্টিতে ‘গ্রহণযোগ্য’ হয়ে উঠেছে ঢাকার বাতাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ জুলাই ২০২৪ ২২:১৫

ঢাকা: চলতি বর্ষার ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দিলেও টানা বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতিতে। প্রায় এক মাস ধরে ঢাকার বায়ু মডারেট বা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ু দূষণ পরিমাপক সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ কথা জানা গেছে। এতে দেখা যায় আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) সারাদিন মিলিয়ে ঢাকার বায়ু মডারেট বা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আছে। গত জুন মাসের ১১ থেকেই চারদিন বাদে বাকি সব দিন ঢাকার বায়ু পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য অবস্থায় আছে। এর মধ্যে ১৪, ১৫, ২১, ২৬ তারিখ সেন্সিটিভ গ্রুপের জন্য আনহেলদি ছিল।

বিজ্ঞাপন

বায়ুতে থাকা পার্টিকেল ম্যাটার (পিএম) আকার ২.৫ এর মাত্রার উপর ভিত্তি করে একটি শহরের দূষণ পরিমাপ করা হয়। বৃষ্টিপাত হলে বাতাসে থাকা পার্টিকেল ম্যাটার মাটিতে মিশে থাকায় বায়ুদূষণ কম থাকে। আবার শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় এটি বেড়ে যায়।

শুক্রবার বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে শুক্রবার বিকেলে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ তম অবস্থানে আছে ঢাকা। আজ ঢাকার বায়ুতে থাকা পিএম ২.৫ এর মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ৪.৮ গুণ বেশি। আর আজ ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট। দ্বিতীয় অবস্থানে ১৬৫ পয়েন্ট নিয়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা আর তৃতীয় অবস্থানে ১৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর।


একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার ‘গ্রহণযোগ্য’ বায়ুতে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর নাগরিকদের ঘরের বাইরে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এছাড়াও বাইরে যেয়ে ব্যায়াম না করা এবং ঘরের জানালা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা যাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তি।

গত ২৮ মার্চ বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে যত মানুষ অকালে মারা যায়, তাদের ২০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ। পরিবেশ দূষণের মধ্যে অকাল মৃত্যুর ক্ষেত্রে ঘরে ও বাইরে বায়ু দূষণকে সবচেয়ে বেশি হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, অকালমৃত্যুর প্রায় ৫৫ শতাংশের কারণই বায়ু দূষণ। এ কারণে ২০১৯ সালে জিডিপির ক্ষতি হয়েছিল ৮.৩২ শতাংশ।

এছাড়া আইকিউএয়ারের ২০২৩ সালের বায়ুদূষণ বিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বায়ুদূষণে গত বছর শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান। আর রাজধানী শহর হিসেবে ঢাকার স্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। শীর্ষে ছিল ভারতের নয়াদিল্লি।

সারাবাংলা/আরএফ/এমও

টানা বৃষ্টি ঢাকার বাতাস বায়ুদূষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর