রূপচাঁদার সঙ্গে একীভূত হলো ভিওলা
৫ জুলাই ২০২৪ ২১:১৯
ঢাকা: দেশে রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল বাজারজাতকারী কোম্পানি বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের সঙ্গে সুনসিং এডিবল অয়েল একীভূত হয়েছে। এত দিন বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের অধীনে সুনসিং এডিবল অয়েল আলাদা কোম্পানি হিসেবে এ দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
সুনসিং এডিবল অয়েল বাজারে ভিওলা ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারজাত করত। দু’টি কোম্পানি এখন একীভূত হওয়ার তাদের আর আলাদা কার্যক্রম থাকছে না। এক কোম্পানির (বাংলাদেশ এডিবল অয়েল) নামেই দুই কোম্পানির দুই কারখানা পরিচালিত হবে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেশের একাধিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই দুই কোম্পানির একীভূত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের পক্ষ থেকে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানি দু’টি একীভূত হওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি মেলে। তারই অংশ হিসেবে গত ৩ জুন সুনসিং এডিবল অয়েলের সব ব্যবসা ও কার্যক্রম বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের অধীনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর ফলে এখন সুনসিং এডিবল অয়েলের নামে আর কোনো ব্যবসা ও কার্যক্রম পরিচালিত হবে না।
এই দুই কোম্পানির একীভূতসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে বলা আরও হয়েছে, দুই কোম্পানির একীভূত হওয়ার এ ঘটনার কারণে বাজারে সরবরাহব্যবস্থায় কোনো প্রভাব পড়বে না। শুধু সুনসিং এডিবল অয়েলের সব পণ্য বিইওএল ব্র্যান্ডে বাজারজাত হবে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে সুনসিং এডিবল অয়েলের ব্যবসা প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারে কিনে নেয় বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড বা বিইওএল। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করা বিইওএলের মালিকানায় রয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক উইলমার ইন্টারন্যাশনাল ও ভারতের আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। এই দু’টি গ্রুপ মিলে ভোজ্যতেলের ব্যবসার জন্য গড়ে তোলে আদানি উইলমার লিমিটেড নামের বহুজাতিক এক কোম্পানি।
বাংলাদেশের বাজারে সুনসিং এডিবল অয়েলের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ভিওলা। ২০১৬ সাল থেকে মালিকানা বদলের পর ভিওলা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলও বাজারজাত করছিল বিইওএল। সুনসিং এডিবল অয়েলের কারখানা মোংলায় অবস্থিত। আর বিইওএলের কারখানা অবস্থিত নারায়ণগঞ্জের রূপসীতে। একীভূত হওয়ার ফলে এখন এ দু’টি কারখানাই পরিচালিত হবে বিইওএলের অধীনে।
খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে সয়াবিন তেলের বাজারের বড় হিস্যা রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের। এ বাজারের প্রায় ২৫ শতাংশই রূপচাঁদার দখলে। এখন দুই কোম্পানি এক হয়ে যাওয়ায় বিইওএলের বাজার হিস্যা আরও বাড়বে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও