পরীক্ষায় এরশাদ-নাজিম, প্রশ্ন— শাহাদাত-বক্করের অপরাধ কী?
৭ জুলাই ২০২৪ ২২:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বাধীন আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্র থেকে বিলুপ্ত ঘোষণার পর একমাস ধরে কাণ্ডারিবিহীন ছিল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। তবে হাল ছাড়েননি শাহাদাত-বক্কর, ছোট-বড় নানা কর্মসূচি দিয়ে নগরীতে দলকে সক্রিয় রেখেছিলেন। সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে প্রধান অতিথি করে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত একটি সমাবেশও করেন, যেখানে বিপুল নেতাকর্মীর সমাগম হয়।
আগের দিন বিকেলে সমাবেশ শেষ করে নেতাকর্মীরা পরদিন রোববার (৭ জুলাই) সকালে ঘুম ভাঙলে জানতে পারেন, নগর বিএনপির দুই সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে এরশাদ উল্লাহকে, সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাজিমুর রহমানকে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যপট থেকে বলতে গেলে ‘আউট’ হয়ে গেলেন শাহাদাত-বক্কর। নতুন কমিটি ঘোষণার পর নগর বিএনপির নেতাকর্মীদের বড় অংশের মধ্যে নীরবতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে যারা আশায় ছিলেন শাহাদাত-বক্করকে কেন্দ্র আবার মূল্যায়ন করবে, তারা হতাশ হয়েছেন। নতুন নেতৃত্ব আসায় খুশিও হয়েছেন অনেকে।
নেতৃত্ব পরিবর্তনে দলীয় সিদ্ধান্তের ঘোষণায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রশ্ন, শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্করের অপরাধ কী ছিল, যার কারণে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে? নতুন নেতৃত্ব এরশাদ উল্লাহ ও নাজিমুর রহমান কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হলেন বলেও মনে করছেন তারা।
২০০৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত হয়েছিলেন নগর বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। সেই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার সারথী ছিলেন বর্তমানে প্রয়াত দস্তগীর চৌধুরী। নির্বাচনের পর দুই ‘শক্তিশালী’ নেতার নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি ‘এক কলমের খোঁচায়’ বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই থেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতৃত্বের পর নেতৃত্ব ‘আসা-যাওয়ার’ মধ্যে আছে।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন-দস্তগীর চৌধুরীর কমিটি বিলুপ্ত করে ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন হুইপ বর্তমানে প্রয়াত ওয়াহিদুল আলমকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে এক-এগারো পরবর্তী জরুরি অবস্থায় ওই কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালনের অভিযোগ ওঠে। ২০০৯ সালে সেই কমিটি ভেঙে দিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করা হয়।
২০১০ সালে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সভাপতি ও ডা. শাহাদাত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্র। ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট সেই কমিটি ভেঙে দিয়ে শাহাদাত হোসেনকে সভাপতি ও আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। পরের বছর ২৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর আবার সেই কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়। তবে শাহাদাতকে আহ্বায়ক ও বক্করকে সদস্য সচিব করে ৩৯ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাড়ে তিন বছর পর গত ১৩ জুন সেই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
২৩ দিন নেতৃত্ববিহীন থাকার পর এরশাদ উল্লাহকে আহ্বায়ক ও নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণার তথ্য জানানো হলো রোববার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে। দলটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, তাদের ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৯৯০ সালে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের হাত ধরে বিএনপিতে যোগ দেওয়া তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী এরশাদ উল্লাহ বিলুপ্ত কমিটিতে এক নম্বর সদস্য ছিলেন। নাছির-দস্তগীর কমিটিতে প্রথম যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এক-এগারো পরবর্তী ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও নগরীর একাংশ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি।
অভিযোগ আছে, ওই আসনের একাধিকবারের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের বিরোধিতার কারণে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। ২০১২ সালে বোয়ালখালীতে এম মোরশেদ খানের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে আবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলে ফেরানো হয়।
দলে প্রথমবারের মতো নেতৃত্বের আসনে বসা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এরশাদ উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘অতীতে দল আমাকে যেসব দায়িত্ব দিয়েছিল, সবগুলোতে আমি সফল হয়েছি। যেকোনো দায়িত্ব একটি পরীক্ষা। আমি পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। সফল হব না কি বিফল হব, সেটা পরীক্ষার আগেই বলা সম্ভব নয়। আমার এখন কাজ দলকে পুনর্গঠন করে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করে মাঠে নেমে যাওয়া। প্রথমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে, এরপর যেসব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে সেগুলো ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে কমিটি গঠন করা হবে।’
অন্যদিকে চট্টগ্রামে ছাত্রদলের একসময়ের ডাকসাইটে নেতা নাজিমুর রহমান প্রায় দুই দশক পর বিএনপির রাজনীতির পাদপ্রদীপে এলেন। ১৯৮৩ সালে ছাত্রদলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সম্মেলনে ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই বছর চট্টগ্রামে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের সমাবেশ ঠেকানোর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ২০০২ সালে ছাত্রদলের সভাপতি পদ থেকে বিদায় নেন। এরপর মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন পদে থাকলেও সম্মুখসারিতে কিংবা আলোচনায় ছিলেন না।
বিএনপিতে হঠাৎ উত্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিমুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন বেঁচে ছিলেন, আমি তখন স্কুলছাত্র। সেইসময় থেকেই উনার কর্মকাণ্ড আমাকে খুব টানত। ছাত্রদলের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছি। আমাকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, নীতি-আদর্শ সমুন্নত রেখে দলকে সংগঠিত করার জন্য। এ দায়িত্ব আমার কাছে একটি পরীক্ষা। সব নেতাকর্মীর সহযোগিতা নিয়ে আমি সেই পরীক্ষা দিয়ে সফল হতে চাই। আগামী দিনের আন্দোলনে নগর বিএনপি যেন কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’
বলয়ের রাজনীতি
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিতে একাধিক নেতার বলয় আছে। একসময় প্রবীণ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের একচ্ছত্র বলয় ছিল। পরে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের একটি বলয় তৈরি হয়। এক-এগারো পরবর্তী সময়ে আবার আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে আরেকটি বলয় গড়ে ওঠে। মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী একটি বলয়ও ছিল।
এরশাদ উল্লাহ বরাবরই মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের সঙ্গে থেকে বিএনপির রাজনীতি করে এসেছেন। নাজিমুর রহমানের উত্থান আবদুল্লাহ আল নোমানের বলয়ে। পরে তিনি মীর নাছিরের সঙ্গে গিয়েছিলেন। এমনকি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বলয়েও কিছুদিন ঘোরাফেরা করেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে বিএনপিতে এখন মীর নাছিরের সন্তান ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের একটি শক্ত বলয় গড়ে উঠেছে। তিনি এখন তারেক রহমানের সবচেয়ে ‘কাছের জন’ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি তাকে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এরশাদ উল্লাহ ও নাজিমুর রহমান মূলত মীর হেলালের ‘আশীর্বাদপুষ্ট’ হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে এসেছেন বলে আলোচনা চলছে।
মীর হেলালের আশীর্বাদে কমিটি— এমন জল্পনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির এই সহসাংগঠনিক সম্পাদক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এরশাদ উল্লাহ সাহেব আমার আব্বার কমিটির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটির এক নম্বর সদস্য ছিলেন। নাজিমুর রহমান চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। এমন না যে উনারা কেউই উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। এবারই প্রথম একেবারে কথিত বলয়ের বাইরে থেকে নেতা এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র মনে করেছে, উনাদের দায়িত্ব দিলে উনারা গ্রুপিংয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সুন্দরভাবে বিএনপিকে পুনর্গঠন করে এগিয়ে নিতে পারবেন, সে কারণেই দায়িত্ব দিয়েছে। এখানে কারও আশীর্বাদে আসার সুযোগ নেই।’
এদিকে নতুন নেতৃত্বের উত্থানের খবরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে শাহাদাত-বক্করের বিদায় নিয়ে। লণ্ডনে আশ্রিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শাহাদাতের ‘আউট’ হওয়া নেতাকর্মীদের বিস্মিত করেছে।
জানা গেছে, আকস্মিক এরশাদ-নাজিম কমিটি ঘোষণার পর চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় এক নেতা মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চান। ফখরুল কমিটি ভেঙে দেয়া কিংবা নতুন কমিটি ঘোষণার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে ওই নেতাকে জানান।
শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছরে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে। যেকোনো সময় এসব মামলার রায় হতে পারে। আবুল হাশেম বক্করের বিরুদ্ধে মামলা আছে কমপক্ষে ৬০টি। শাহাদাত-বক্কর গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছেন অন্তত তিনবার।
নগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, নগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা এবং নতুন নেতৃত্ব ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক ধারাবাহিকতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা ক্ষুণ্ন হয়েছে। দল ও আন্দোলন-সংগ্রামে এর প্রভাব পড়বে। চট্টগ্রাম মহানগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে বিএনপি নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর বিএনপির এক প্রবীণ নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘২২ বছর চট্টগ্রাম মহানগরে বিএনপির কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল না। শাহাদাত ও বক্কর এসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছেন। একসময় নোমান ভাইয়ের অনুসারীরা খসরু ভাইকে অতিথি করলে সেই প্রোগ্রামে যেতেন না। খসরু ভাইয়ের নেতাকর্মীরা নোমান সাহেবের প্রোগ্রামে যেতেন না। এরা দুজন এসে সব নেতাকে সম্মান দিয়ে সবার অনুসারীদের এক কাতারে এনেছেন। উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় সাংগঠনিক অবস্থা একেবারে করুণ। শাহাদাত ও বক্কর সেই মরা লাশও টেনেছেন। হঠাৎ করে তাদের বাদ দেওয়া দলের জন্য ভালো হবে না।’
রয়েছে ভিন্নমতও। নগর যুবদলের এক নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘শাহাদাত ভাই, বক্কর ভাই দলকে সংগঠিত করেছেন, এটা ঠিক আছে। কিন্তু দলগতভাবে আমাদের অর্জন কী? আমরা কতটা এগোতে পেরেছি? এসব বিষয়ও আলোচনায় আনতে হবে। এরশাদ ভাই, নাজিম ভাইও যোগ্য নেতা। একই নেতৃত্ব দীর্ঘসময় থাকলে দলে প্রাণসঞ্চার হয় না। দল নির্জীব হয়ে পড়ে। নেতৃত্বে পরিবর্তন হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব আসে। দল সক্রিয় হয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিচক্ষণ মানুষ। উনি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দলের ভালোর জন্যই নিয়েছেন।’
জানতে চাইলে ডা. শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো কমিটি পরিবর্তন হতে পারে। আশা করি, নতুন কমিটি সব নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমাদের অধিকাংশ নেতাকর্মীর অবস্থা খুবই করুণ। মামলা, জেলজুলুম, চাকরি-ব্যবসা হারিয়ে অনেকেই পথে বসেছেন। তাদের পাশে থাকাটা এখন জরুরি। আশা করি, নতুন কমিটি দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবে। সাংগঠনিকভাবে আমার সব ধরনের সহযোগিতা তাদের জন্য থাকবে।’
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
আবদুল্লাহ আল নোমান আবুল হাশেম বক্কর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এরশাদ উল্লাহ চট্টগ্রাম মহানগর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ডা. শাহাদাত হোসেন নাজিমুর রহমান বিএনপি ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মীর নাছির মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন রাজনৈতিক বলয়