নোটিশের জবাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আ’লীগ
২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৩১
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনি নোটিশের জবাব দিতে বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আওয়ামী লীগ।
মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠান বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রধানমন্ত্রীর অফিস বরাবর নোটিশটি পাঠান।
গত ০৭ ডিসেম্বর বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদেশি কয়েকটি মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, ‘খালেদা জিয়া ও তার সন্তানরা সৌদি আরবে আল আরাফা শপিংমল ও কাতারে বাণিজ্যিক ভবন তিনারাট–এ বিনিয়োগ করেছেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো কাতারে ইকরা ভবনের মালিক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে ৮ ডিসেম্বর গুলশান অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাকে এ জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যথায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন তিনি।
এর ১২ দিনের মাথায় বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার দায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়া তিন বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির চেয়ারপারসন। তার প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।’
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে নোটিশে বলা হয়- ‘গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে মিডিয়া ব্রিফিংকালে আপনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা এবং বিদ্বেষপরায়ণ বিবৃতি দিয়েছেন। আপনি বলেছেন, সৌদি আরবে খালেদা জিয়া একটি শপিংমলের মালিক এবং সেখানে তাঁর বিপুল সম্পদ রয়েছে। তিনি মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গেও জড়িত।’
আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি খালেদা জিয়া ও তার পুত্রদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সাজানো, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিদ্বেষমূলক। খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আপনার এই মিথ্যা অভিযোগ তার প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি ও তাকে হাস্যকর করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’
‘খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আপনার এই অপবাদমূলক দীর্ঘ বিবৃতি পরিকল্পিতভাবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য। এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণী লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য আইনত আপনি দায়ী।’
নোটিশে ৩০ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/একে