কলড্রপের দায় অপারেটরদের ওপর চাপিয়ে দায়িত্ব এড়াচ্ছে বিটিআরসি
১৩ জুলাই ২০২৪ ২০:২০
ঢাকা: টেলিযোগাযোগ সেবার বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান না করেই কলড্রপের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি টেলিকম অপারেটরদের ওপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। কলড্রপ সমস্যা সামাধানে দীর্ঘদিন ধরে সামগ্রিক টেলিকম খাতের যে সমন্বয়ের প্রয়োজন ছিল তা এড়িয়ে চলেছে বিটিআরসি।
শনিবার (১২ জুলাই) গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। কলড্রপ সমস্যার জন্য বিটিআরসি অপারেটরদের ওপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, কথা বলার ক্ষেত্রে কলড্রপ শুধু আর্থিক ক্ষতিই করে না, এই সমস্যা দুই প্রান্তে থাকা দুই ব্যক্তির মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ক্ষেত্রে কলড্রপ অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। আইটিইউ কিংবা বিটিআরসির গাইডলাইনে যাই থাকুক না কেন ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট সবধরনের কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেবাদানের সঙ্গে যুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয় ওই সময়। বিটিআরসির নিজস্ব প্রতিবেদনে যখন লক্ষ্য করা যায় যে, বছরে সাড় ১৮ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কলড্রপের কারণে গ্রাহকের।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ডাক টেলিযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ ব্যাপারে বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর দু’দিন পর বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে একটি শোকজ লেটার দিয়ে দায় সারেন। গ্রামীণফোন লিমিটেড’র জবাব দেওয়ার আগেই রবি ও বাংলালিংকে শোকজ লেটার দেওয়া করা হয়।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের মান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমগুলোর মান উন্নয়ন এবং জবাবদিহিতার নিশ্চিত করা না গেলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম