দখল হয়ে গেছে নালা-নর্দমা, বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ কক্সবাজার
১৫ জুলাই ২০২৪ ১১:৫১
কক্সবাজার: কক্সবাজারে অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এতে চরম ভোগান্তিতে জনগণ। এর অন্যতম কারণ অবৈধভাবে নালা-নর্দমা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ। পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা থাকার পরেও এমন পরিস্থিতির জন্য নালা-নর্দমা দখলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী শহরবাসী।
এদিকে জেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানে নেমেছে পৌরসভা। শুরু হওয়া ধারাবাহিক অভিযানের প্রথম দিনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১০টি স্থাপনা। এই অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি স্থানীয়দের।
এর আগে, কক্সবাজারে ক‘দিনের টানা বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে স্মরণকালের জলাবদ্ধতা। শহরের পানি নিষ্কাশনের যে কয়টি নালা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো শহরের শহিদ স্মরণীর পশ্চিমের নালা। যে নালার শুরুর অংশ রয়েছে পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড জুড়ে। পানি নিষ্কাশনের বড় মাধ্যম ওই নালাটিও বাদ যায়নি দখলবাজদের হাত থেকে।
দুর্ভোগ লাঘবে পৌরসভা উচ্ছেদ অভিযানে নেমে প্রথম দিনেই শহিদ স্মরণীর সেই গুরুত্বপূর্ণ নালা দখলমুক্ত করতে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের দু’টি দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশ নিজ দায়িত্বে ভেঙে ফেলার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।
পরে শহরের নুনিয়ারছড়ার কানাইয়াবাজারের পাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নালার উপর নির্মিত ১০টি স্থাপনার অংশ। দেরিতে শুরু হলেও এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসী।
কক্সবাজার পৌরসভার নারী কাউন্সিলর নাছিমা আক্তার বকুল বলেন, ‘নালা দখলবাজদের কারণেই আজ শহরে জলাবদ্ধতা। দখলবাজ যখই প্রভাবশালী হোক না কেন পৌরসভার পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে দখলমুক্ত করা হচ্ছে নালা। আগে থেকে পরিকল্পনা করে করলে আজ এতদিন পরে এসে এসব ভাঙতে হতো না। এর জন্য ঠিকাদারেরাও দায়ী।‘
কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা এইচ এম নজরুল বলেন, ‘নালা-নর্দমা দখলবাজদের বিরুদ্ধে এই উচ্ছেদ অভিযান যেন লোক দেখানো না হয়। দেরিতে শুরু করলেও পৌরসভার এই অভিযানকে স্বাগত জানাই। তবে প্রশ্ন হলো এই অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে কিনা? যতদিন না নালা-নর্দমা দখলমুক্ত হচ্ছে ততদিন যেন অভিযান অব্যাহত থাকে।’
মোহাম্মদ সুমন নামে আরেক যুবক বলেন, ‘এই অভিযানে পৌরসভাকে সবার সহযোগিতা করা দরকার। যাতে করে পানি নিষ্কাসনের মাধ্যম নালাগুলো দখলমুক্ত হয়। পর্যটন নগরী যেন জলাবদ্ধমুক্ত শহরে পরিণত হয়।’
শহরের প্রতিটি নালা-নর্দমা দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘শহরে গুরুত্বপূর্ণ মোট ৫টি নালা রয়েছে। এই নালা দখলকারি হিসেবে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর আগে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা ধরেই অভিযান চলছে। নালা আগের অবস্থানে না ফেরা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
সারাবাংলা/এমও