আন্দোলনকারীদের পেছনে বিএনপি-জামায়াত: ওবায়দুল কাদের
১৬ জুলাই ২০২৪ ১৫:০৭
ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিনা উস্কানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের ওপর নির্বিচারে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই আন্দোলনকারীদের একটা অংশ রাজাকারের পক্ষে কথা বলছে। এটা স্পষ্ট এর পেছনে রয়েছে বিএনপি-জামাত।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে যে আন্দোলন তা প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, ধৈর্য ধারণ করা মানে নীরবতা নয়, সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোটা আন্দোলনের পেছনে একটি মতলবি মহল আছে। অতীতেও সড়ক আন্দোলন কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চেয়েছিল বিএনপি। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। কিন্তু সে আন্দোলনে তারা সাড়া পায়নি। জনগনের শক্ত অবস্থানের কাছে পরাস্থ হয়।
তিনি বলেন, আজকে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে, এ আন্দোলনেরও নেতৃত্ব নিয়েছে তারেক রহমান। তার দল বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে। একটা অরাজনৈতিক ইস্যুকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করতে চক্রান্ত করছে। একটা অপশক্তিকে এর পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপ্রয়াস চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের কাউকে উদ্দেশ্য করে রাজাকার শব্দ ব্যবহার করেননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জামাতের ক্যাডাররা জোর করে ছাত্রদের আন্দোলনে নামতে চাপ দিচ্ছে। বিনা উষ্কানিতে ছাত্রলীগসহ সাধারণ ছাত্রদের উপর গতকাল হামলা চালিয়েছে। ছাত্রলীগের অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী আহত। দুইজন নেতা গুলিবিদ্ধ। ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার ভূয়া ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন পেজে অপপ্রচার করছে।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতের বিষয়। আদালত ছাড়া আর কোনো উপায় বা বল প্রয়োগ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথি মিলারের যে বিবৃতি দিয়েছে তার নিন্দা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে আন্দোলন স্বাধীনতাকে টার্গেট করে সে আন্দোলন মোকাবেলা করবে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের নামে কোনো প্রকার জনদুর্ভোগ সরকার মেনে নিবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো প্রকার অবমাননা সহ্য করা হবে না। প্রশাসনের ধৈর্য্য ধরা মানে দুর্বলতা নয়। সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ