মিরপুর-১০ নম্বরে পুলিশ বক্সে আগুন, মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্ন
১৮ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৯
ঢাকা : রাজধানীর মিরপুরে ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জবাবে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
এক সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হটিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর দখলে নেওয়ার পর ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় গোলচত্বরের পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্ন হয়েছে। এ সময় মিরপুর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচল করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ চলছে। সেখানে বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
এদিন সকালে মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদের তাড়া খেয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পুলিশের টিয়ার শেলে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পুরো এলাকা রণক্ষেত্র পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে। পুলিশ মারমুখী অবস্থানে রয়েছে। কোনো ধরনের যানবাহন চলছে না।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে একপাশে পুলিশ, মধ্যে শিক্ষার্থীরা এবং অন্যপাশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। তাদের মধ্যে পালটা-পালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটছিল।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। পুলিশ ও সরকারি দল আমাদের ওপর হামলা করছে। পুলিশ টিয়ার শেল মারছে, সাউন্ড গ্রেনেড মারছে। আপনারা সঠিক খবর প্রচার করুন।’
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে এ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার রাত পৌনে ৮টায় সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সারাবাংলা/জিএস/একে