Thursday 03 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন: যা বললেন ৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

সারাবাংলা ডেস্ক
২৩ জুলাই ২০২৪ ২২:১০ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪ ০৯:২৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: কোটা সংস্কার করে সরকারের জারি করা পরিপত্র নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সরকারের চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের গুলশানের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে জারি করা পরিপত্র ও দেশের সবশেষ পরিস্থিতি জানান তারা।। সে সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এম আলী আরাফাত ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী জানান, আদালতের রায় অনুযায়ী কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে সরকারি নিয়োগে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ৯৩ শতাংশ রাখা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আইনমন্ত্রী বলেন, জনমনে স্বস্তি ফিরে এলে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে।  প্রথম দিকে দুই ঘণ্টা শিথিল করা হয়। এখন চার ঘণ্টা শিথিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই আন্দোলন শুধু শিক্ষার্থীদের ছিল না। এর পিছনে জঙ্গিরা ছিল। জামাত-শিবির এটা কার্যকর করেছে।

তিনি বলেন, কোটা বিষয়টি সরকারের ‘পলিসি ম্যাটার’। আদালত এই পলিসি ম্যাটারে হস্তক্ষেপ করেননি। তারা (আদালত) বিচক্ষণতার সাথে বলেছেন সুদূর প্রসারী হিসেবে যদি এটা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় তাহলে সরকার এটি পরিবর্তন করতে পারবে।

প্রজ্ঞাপনে নারী কোটা না থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নারীরাও এই আন্দোলনে বলেছে তাদের কোটা দরকার নেই। আদালত যদি তাদের এই দাবি শুনে থাকে তাতে আমার কিছু করার নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হতাহতের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিশ্চয়ই তা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো মন্তব্য করব না। আশা করি পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না। যদি কেউ পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কত শিক্ষার্থী মারা গেছেন তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জানতে হবে। তারাই বলতে পারবে আন্দোলনে তাদের কতজন শিক্ষার্থী মারা গেছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিনে আমরা দেখেছি কিছু তথ্য, কিছু অপতথ্য ও কিছু গুজব ছিল। এই আন্দোলনে প্রকৃতপক্ষে কত শিক্ষার্থী ছিলেন তা তদন্ত করে দেখতে হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানান, শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি। তারা পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট ডাটা সিস্টেম ধ্বংস করেছে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জঙ্গী, জামাত-শিবির ঢুকেছে। সরকারি স্থাপনা, ডাটা সেন্টার, পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার পর নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তিনি বলেন, হতাহতের জন্য আক্রমণকারীরাই দায়ী। দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সারাবাংলা/রমু/আইই

কোটা সংস্কার টপ নিউজ প্রজ্ঞাপন জারি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর