চারদিনে খান ইউনিস ছেড়েছেন পৌনে ২ লাখ ফিলিস্তিনি
২৭ জুলাই ২০২৪ ১১:০৬ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:০০
ইসরাইলি বোমা হামলা থেকে বাঁচতে চারদিনে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহর ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ বলেছে, সম্প্রতি খান ইউনিস এলাকায় লড়াইয়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গাজায় অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে। সোমবার (২২ জুলাই) থেকে বৃহস্পতিবারের (২৬ জুলাই) মাঝে মধ্য ও পূর্ব খান ইউনিস থেকে এক লাখ ৮২ হাজারের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ পূর্ব খান ইউনিসে আটকা পড়েছেন।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সোমবার দক্ষিণ খান ইউনিস শহরের কিছু অংশে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করে। তারা ঘোষণা করেছে যে তারা সেখানে ‘জোরপূর্বক কাজ করবে।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় খান ইউনিসে অন্তত ১৮ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।
মধ্যগাজার বুরেজ শরণার্থী শিবিরের পূর্বাঞ্চলেও বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইল। দখলদার দেশটির সামরিক বাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছে যে সৈন্যরা খান ইউনিসে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং টানেল এবং অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস করেছে, কারণ তারা ছোট ইউনিটগুলোকে দমন করতে চেয়েছিল, যারা মর্টার ফায়ার দিয়ে সৈন্যদের আঘাত করতে থাকে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গত সোমবার ইসরাইলি সৈন্যরা খান ইউনিসে তাদের সর্বশেষ অভিযান শুরু করার পর থেকে ১০০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একইদিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরাইল। ইতোমধ্যে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সারাবাংলা/ইআ