Saturday 02 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশের মানুষ যেন আতঙ্কের রাজ্যের বাসিন্দা: জি এম কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৫

ফাইল ছবি: গোলাম মোহাম্মদ কাদের

ঢাকা: বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের  বলেছেন, আন্দোলন দমাতে সাধারণ মানুষকে দেদারছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, গ্রেফতার বাণিজ্য চালাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। সাধারণ মানুষের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশের মানুষ যেন আতঙ্কের রাজ্যের বাসিন্দা।

সোমবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে জি এম কাদের এ সব কথা বলেন। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত-আহতের ঘটনা এবং সহিংতার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জি এম কাদের বলেন, ‘নিরাপত্তা হেফাজতের নামে আটক ৬ ছাত্র নেতা মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুমকে মুক্তি দিতে হবে। আন্দোলন দমাতে দেদারছে সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশের এ কর্মকাণ্ড সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।

বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘দেশের সকল ক্ষমতার মালিকও জনগণ। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা বা প্রতিবাদ করার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের আছে। অহিংস প্রতিবাদকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করার বা সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ব্যবহার করে সংহিসভাবে মোকাবিলা করার অধিকার সরকার বা সরকারি দলের নেই। সে কারণে শুধু ছাত্র নয়… কোনো আন্দোলন দমাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য গুলি করতে পারে না।’

বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘নিরাপত্তা হেফাজতের নামে বেশ কয়েকদিন ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ ছাত্রদের নিরাপত্তার নামে তাদের ও তাদের পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখাকে আমরা আইনসম্মত মনে করি না।’

বিজ্ঞাপন

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়েছে। হেলিকপ্টার এবং বহুতল বিশিষ্ট বাড়ির ছাদের ওপর থেকে এবং ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। যে কারণে, বাবা-মায়ের কোলের মধ্যে ও ঘরের মাঝে খেলারত অবস্থায় শিশু নিহত হয়েছে। আবার, ঘরের ভেতরে কাজ করতে করতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গৃহিনী নিহত হয়েছেন বলেও গণমাধ্যমে এসেছে। একইভাবে অসংখ্য নিরীহ পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।’

‘প্রশ্ন হলো— এই ধরনের গুলি বর্ষণের উদ্দেশ্য কী ছিল? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা যদি লক্ষ্য হয়, তাহলে এই ধরনের প্রক্রিয়ায় কি সন্ত্রাসী চিহ্নিত করা সম্ভব ছিল? বাবার কোলে শিশু, রান্নাঘরে গৃহিণী ও নিরীহ পথচারী… তারা কী সন্ত্রাসী? এই মৃত্যুর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে’ বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

জাতীয় পার্টি জাপা জি এম কাদের টপ নিউজ বিরোধীদল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর