চুয়াডাঙ্গায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলা
৪ আগস্ট ২০২৪ ১০:২৫
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন রাজনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন, যৌতুক দাবী ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামের মরহুম দলিল বিশ্বাসের ছেলে শাহাবুদ্দীন রাজন। তিনি প্রায় এক যুগ আগে একই গ্রামের জেসমিন আরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তাদের শাবাব (৯), সাদমান (৭) ও শায়ন (২) নামে তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রাজন বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবী করে আসছেন।
তিনি জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার একটি মাদ্রাসায় চাকরির কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়ে আর ফিরিয়ে দেননি। এরপর আবারও তিনি টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে তার স্ত্রীকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।
মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেন, তার স্বামীকে মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি নিষেধ করলেও তিনি না শুনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ জুলাই বিকেলে চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার শান্তিপাড়া স্কুল মোড়ের বাবুর ভাড়া বাসায় থাকাকালীন স্বামী ও শ্বাশুড়ী মিলে টাকার দাবীতে তাকে নির্যাতন শুরু করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী জানান, প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের তৎসহ পেনাল কোডের ১১৪/৫০৬ ধারায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীনের কাছে মামলা ও নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নাম্বারে কল দেওয়া হয়। তার মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আরেক নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেন। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কল কেটে দেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়ে থাকলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। মামলা দায়েরের কাগজপত্র আমরা চাইব। প্রতিষ্ঠানের বিধান মোতাবেক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, সেই আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/একে