ইন্টারনেট বন্ধের কারণ তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি
১১ আগস্ট ২০২৪ ১৮:১৩ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৫৫
ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারা দেশের মোবাইল ইন্টারনেটসহ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের কারণ তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১১ আগস্ট) এ কমিটি গঠন করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) এ কে এম আমিরুল ইসলামকে এই কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের বিষয়ে অনুসন্ধান এবং তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। এর পরপরই ওই কমিটি গঠনের তথ্য পাওয়া যায়।
সাত সদস্যের কমিটিতে অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) এ কে এম আমিরুল ইসলামকে আহ্বাক করা হয়েছে। কমিটিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে প্রতিনিধি রয়েছেন বলে জানান কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল হক। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা এখনো পাওয়া যায়নি।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনায় গত ১৮ জুলাই দুপুরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে ওই দিন রাতেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাঁচ দিন পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করে দেওয়া হলেও মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয় ১০ দিন পর। তবে এ সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল।
ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকা নিয়ে একেক দিন একেক ধরনের তথ্য দিয়েছিলেন সদ্য বিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে অবস্থিত ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায় বলে শুরুতে জানিয়েছিলেন তিনি। আরও বলেছিলেন, ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়ে গেছে। পরে জানা যায়, ওই ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এদিকে পাঁচ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়ে। ব্যাংকগুলো বন্ধ ছিল এ সময়, বন্ধ ছিল এটিএম বুথ। সব ধরনের অনলাইন লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। ই-কমার্স সাইটগেুলোসহ ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সিংয়ে নিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ই-কমার্স খাতেই এর প্রভাবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল বলে জানান খাতসংশ্লিষ্টরা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
ইন্টারনেট ইন্টারনেট বন্ধ ইন্টারনেট সংযোগ টপ নিউজ তদন্ত কমিটি