সচিবালয়ে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী সংগঠনের বিক্ষোভ
১১ আগস্ট ২০২৪ ২০:৪৩
ঢাকা: সচিবালয়ে নিয়োজিত সব প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নিত করে ‘উপ-সহকারী সচিব’ পদনাম দেওয়া, ১১-১৬ গ্রেডের কর্মচারীদের পদনাম ‘অতিরিক্ত উপ-সহকারী সচিব’ করাসহ ৬ দফা দাবিতে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী সংগঠনের’ ব্যানারে বিক্ষোভ করেছে ১০ম-২০তম গ্রেডের একদল কর্মচারী।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)’ কার্যালয়ে আসেন তারা।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত মো. মনির হোসেন তাদের ৬ দফা দাবির কথা সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ‘আমি ২১ বছরে মাত্র একবার পদোন্নতি পেয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে আমাদের এত বঞ্চিত করেছে, যেটা ভাষায় কল্পনা করা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০তম গ্রেডের একজন কর্মচারী ৮ হাজার ২৫০ টাকা বেতনের চাকরি করেন। তিনি সর্বসাকুল্যে ১৫ হাজার ৮৫০ টাকা বেতন পান। এই টাকা দিয়ে কি ঢাকা শহরে তার সংসার চলে? আমরা বৈষম্যের শিকার।’ এরপর ৬ দফা দাবি সাংবাদিকদের সামনে উত্থাপন করেন তিনি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিয়োজিত সকল প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নিত করে ‘উপ-সহকারী সচিব’ পদনাম দিতে হবে।
২. বিদ্যমান আইনানুযায়ী ৭ বছরে ফিডার হওয়ার সাথে সাথে পদোন্নতি দিয়ে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যা বিভিন্ন ক্যাডারে ইতোপূর্বে করা হয়েছে।
৩. ১১-১৬ গ্রেডের কর্মচারীদের পদনাম ‘অতিরিক্ত উপ-সহকারী সচিব’ করতে হবে।
৪. ১৭-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের পদনাম ‘সাচিবিক সহায়ক’ করতে হবে।
৫. সচিবালয় ভাতা চালু করতে হবে (যা বিভিন্ন দপ্তরে/বিভাগে বিদ্যমান আছে।
৬. কর্মচারীদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার জন্য সচিবালয় জারি করা ১৪৪ ধারা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতাকে বাকরুদ্ধ করার জন্য আইসিটি আইন/সাইবার ক্রাইম আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম