হত্যা-হামলা-অগ্নিসংযোগের বিচার দাবি গ্রাম থিয়েটারের
১২ আগস্ট ২০২৪ ০০:৪৫
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সংসদ বিলুপ্তি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালনের এই সময়ে চলমান সামাজিক অস্থিরতা এবং শহর থেকে গ্রামে হত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। এসব অপরাধমূলক ঘটনার ন্যায়সঙ্গত বিচারের দাবি জানিয়েছে সুপরিচিত এই নাট্যগোষ্ঠী।
রোববার (১১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ ও দাবি জানানো হয়েছে। গ্রাম থিয়েটারের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ রিংকু বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে অসংখ্য সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের বাড়িঘরে আক্রমণ করা হয়েছে, বাড়িঘর লুটপাটের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য সনাতন ধর্মের উপাসনালয় পোড়ানো হয়েছে। সাংস্কৃতিক স্থাপনা— বঙ্গবন্ধু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্য চত্বরসহ মুক্তিযুদ্ধের প্রতীকী বহু ভাস্কর্য ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লুট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে।
সারা দেশে বিভিন্ন থিয়েটার আক্রান্ত হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন জেলার বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সংগঠন বগুড়া থিয়েটার, আদমদিঘি থিয়েটার, কাহালু থিয়েটার, নাগর থিয়েটার, দেবীগঞ্জ থিয়েটার ও শহিদ সমর থিয়েটার এবং শিশু সংগঠন ভোর হলো, মেলান্দহ, চারণ থিয়েটার, পাঁচবিবি থিয়েটার, ঝিনেদা থিয়েটার— এই ১০টি থিয়েটার সংগঠন আক্রমণের শিকার হয়েছে। দেবীগঞ্জ থিয়েটারের সভাপতির ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। প্রজন্ম থিয়েটারের কর্মী, পাঁচবিবি থিয়েটারের সভাপতি ও শহিদ সমর থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বীর চন্দ্র গণপাঠাগার লুট করে সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে। পাঁচবিবি ভাষাসৈনিক মীর শহিদ মন্ডল পৌর পাঠাগার ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করা হয়েছে। কীর্তনিয়া পুষ্পমাতাজির বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তজুমুদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ উল্লাহ মিয়াকে।
এসব ঘটনার বিচার দাবি করে গ্রাম থিয়েটার বলছে, অভ্যুত্থানের আগে ও পরে শত শত মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শত শত ছাত্র-জনতা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। আমরা সব হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের হামলার ন্যায়সঙ্গত বিচার দাবি করছি।
সারাবাংলা/টিআর