ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন ড. এম মাসরুর রিয়াজ। শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তিনি সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি সারাবাংলাকে বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার আমাকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিয়োগের জন্য আমি আন্তরিকভাবে অন্তবর্তী সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই। এই দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার দারুন সুযোগ। দেশের স্বার্থ আমার কাছে বরাবরই সবকিছুর উপরে।
তিনি বলেন, তবে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, আমি মনে করি আমার বর্তমান অবস্থান থেকে একজন অর্থনীতিবিদ হিসাবে দেশের এবং অর্থনীতির জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করতে পারব। একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে সামগ্রিক অর্থনীতি, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং আর্থিক খাত সংক্রান্ত নীতি বিশ্লেষণ, সংস্কার কৌশল, এবং সংলাপের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির কল্যাণে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় আমি সবিনয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র মেরামতের ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় আমার অবস্থান থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব। আমাকে সাদরে গ্রহণ করার জন্য বিএসইসির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, ক্যাপিটাল মার্কেট সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন এবং মিডিয়ার সহকর্মীদের আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে তাকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ড. মাসরুর রিয়াজ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তিনি পলিসি এক্সচেঞ্জ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইন ১৯৯৩ এর ধারা-৫ ও ৬ এর বিধানাবলী প্রতিপালন করতে, এই আইনের ধারা ৫(২) অনুসারে তাকে নিয়োগের তারিখ থেকে পরবর্তী চার বছর মেয়াদের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।