Wednesday 20 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খুবি উপাচার্যের পদত্যাগ চান না শিক্ষার্থীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৬

উপাচার্য যেন পদত্যাগ না করেন, সে দাবিতে বিক্ষোভ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সারাবাংলা

খুলনা: সারা দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন উপাচার্যদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে এবং স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে, তখন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বরং উপাচার্যের পদত্যাগের এক গুঞ্জন শুনেই বিক্ষোভ করেছেন হাজারও শিক্ষার্থী। তাদের এক দাবি— উপাচার্য যেন কোনোমতেই পদত্যাগ না করেন!

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সমাবেত হন শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে তারা প্রকম্পিত করে তোলেন প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন এলাকা।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করেন। বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আপনি আজ পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমরা আপনার পদত্যাগ চাই না। আমরা কেনোভাবেই আপনার পদত্যাগ মেনে নেব না।

দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে অবস্থান করে উপাচার্যের পদত্যাগ না করার জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উপাচার্য প্রশাসন ভবনের নিচে নেমে প্রবেশদ্বারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত হন।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর বলেন, আমাদের একটাই দাবি, উপাচার্য স্যারের পদত্যাগ কোনো অবস্থাতেই মেনে নেব না। উপাচার্য স্যার বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যেভাবে কাজ করছেন সেভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। তাতে যদি কোনো বাধা আসে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করব। স্যারের পদত্যাগ নিয়ে অভ্যন্তরীণ বা বাইরের কোনো চাপ থাকলে সেটিও শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য যাতে পদত্যাগে বাধ্য না হন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

এ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুধু একা নন, এখানে একটি টিম কাজ করে। উপউপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বডির সদস্য, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী— বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সবাই কাজ করেন। তোমরা যে বিষয় নিয়ে আসছ, তা আমি ভেবে দেখব এবং এ বিষয়ে আমি আমার টিমের সঙ্গে কথা বলে তারপর আবার তোমাদের সঙ্গে বসব।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে খুবি উপাচার্য বলেন, ‘আমার শিক্ষকতা জীবনের এটি একটি বড় পাওয়া।’ পরে উপাচার্য তার দফতরে ফিরে যান এবং সেখানে উপস্থিত উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুসসহ শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

সারাবাংলা/টিআর

খুবি খুবি উপাচার্য খুলনা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর