১৩ বছর পর পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলা
১৯ আগস্ট ২০২৪ ১৯:২৬
ঢাকা: মারধরের শিকার হওয়ার ১৩ বছর পর দুই পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা করেছেন বিএনপি নেতা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় তিনি নিজেই মামলাটি করেন। দণ্ডিবিধির ৩২৩/৩২০৫/৩২৬/৩০৭/২০৬/১০৯/৩৪ ধারায় নথিবদ্ধ করা হয়েছে।
২০১১ সালের ৬ জুলাই বিএনপির ডাকা হরতাল কর্মসূচি চলাকালে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পুলিশের লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক। ওইদিনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) বর্তমানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ও তৎকালীন সহকারী কমিশনার (এসি) ও বর্তমানে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
জানা যায়, ওইদিন সকালে জয়নাল আবদীন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫ থেকে ২০ জন সংসদ সদস্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনে জড়ো হন। সকাল বেলা তারা হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তারা আবার মানিক নিয়ে এভিনিউয়ের দিকে ফিরে যান। এ সময় হঠাৎ একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। তৎকালীন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইমাম হোসেন, হারুন অর রশীদ ও মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সংসদ সদস্যদের সামনে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জয়নাল আবদীন ফারুকের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ তার দিকে তেড়ে যায়। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং ফারুক মাটিতে পড়ে যান। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্যের লাঠিপেটায় তার মাথা ফেটে যায়।
ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ আবার এগিয়ে এলে, তিনি আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশও তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে ফারুককে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
এরপরে ফারুককে উদ্ধার করে এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সারাবাংলা/ইউজে/একে