Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টানা বর্ষণে ফের ডুবল চট্টগ্রাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ আগস্ট ২০২৪ ১৪:২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: টানা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশিরভাগ এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। বাসা-বাড়িতে ঢুকেছে পানি। এছাড়া সড়কেও গণপরিবহন কম চলতে দেখা গেছে। ফলে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে নগরীর প্রবর্তক মোড় ও চকবাজার এলাকায় দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কোমর পরিমাণ পানি জমে গেছে। সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে তেমন গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি। দুই একটি চললেও সেখানে দ্বিগুনের বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। উপায় না পেয়ে রিকশা ও ভ্যানগাড়িতে চড়ে অনেককে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। কোমর পরিমাণ পানিতেই অনেককে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতেও দেখা গেছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, শুলকবহর, বাদুরতলা, জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেইট, পাঁচলাইশ, হালিশহরসহ আরও বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার অনেক বাসাবাড়ির নিচতলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটে পানি ঢুকে গেছে।

টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে অনেক পোশাক কারখানাও বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘টানা পাঁচ-ছয়দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝারি বা ভারী বৃষ্টি হলেই নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানির কারণে বাসা থেকে বের হতে পারছি না। নিচের সিঁড়ি পর্যন্ত পানি এসে গেছে। প্রয়োজনীয় কাজ করা যাচ্ছে না। বাচ্চাদের স্কুল খুললেও তাদের পাঠাতে পারছি না।’

বিজ্ঞাপন

নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর ইলাহী সারাবাংলাকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতার চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় পানি উঠে গেছে। বুধবারও পানি ছিল। ক্লাসে যেতে পারিনি। যারা গেছে তাদের থেকে নোট নিয়েছি। অনেক স্যাররাও পানির কারণে ভার্সিটিতে যেতে পারেনি বলে শুনেছি।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভারি বৃষ্টির কারণে খাল ও নালা দিয়ে পানি যেতে পারছে না। তাই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের একাধিক টিম নগরীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করছে। বৃষ্টি কমলেই পানি আস্তে আস্তে নেমে আসবে।’

এদিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়ার কার্যালয়ের সহকারি পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবদুল বারেক সারাবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এর সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, ভোর ছয়টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম নগরী ও পাহাড়ধসের সম্ভাবনা আছে।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ

চট্টগ্রাম বন্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর