Wednesday 20 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গুমের অভিযোগে ৮ বছর পর র‍্যাবের ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৮ আগস্ট ২০২৪ ২২:২২

রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ইসমাইল হোসেন (৩০) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুম করার অভিযোগে ৮ বছর পর আদালতে মামলার আবেদন করেছেন তার স্ত্রী। এতে ২০১৬ সালে র‌্যাব-৫ এর রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পে কর্মরত সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার আমলী আদালতে মামলার আবেদন করেন নাইস খাতুন নামের নারী। তার আইনজীবী মাহমুদুর রহমান এ তথ্য জানান।

নাইসের অভিযোগ, তার স্বামী স্বর্ণকার ইসমাইল হোসেনকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করেছে র‌্যাব। নাইস যাদের আসামি করার আবেদন করেছেন তারা হলেন- র‌্যাব-৫ এর তৎকালীন রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শাহিনুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত মজুমদার, দুলাল মিয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন, ল্যান্স নায়েক মাহিনুর খাতুন, সিপাহী কহিনুর বেগম ও কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম।

নাইসের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনেছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালত মামলার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আদালতের বিচারক লিটন হোসেন এ বিষয়ে আদেশ দিতে পারেন।’

নাইস খাতুনের বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি আলীপুর মহল্লায়। তিনি জানান, ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার স্বামী ইসমাইল হোসেন দোকানে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড়ে পৌঁছালে র‌্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যান। তিনদিন পর ইসমাইল অন্য এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বর থেকে কল করে পরিবারকে জানান, তিনি র‌্যাবের হেফাজতে আছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, র‌্যাব সদস্যরা যখন ইসমাইলকে তুলে নিয়ে যান তখন অনেকেই দেখেছেন। এছাড়া, মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি র‌্যাব ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় সেখানে ইসমাইলকে দেখেছেন। ইসমাইল র‌্যাব হেফাজতে আছেন জেনে তারা ওই সময় র‌্যাব-৫ এর অধিনায়কের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেন। তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে কালক্ষেপণ করেন।

নাইস জানান, র‌্যাব ক্যাম্পে থাকা যে দুই ব্যক্তি ইসমাইলকে দেখেন এবং যারা তাকে তুলে নিয়ে যেতে দেখেন তাদের সাক্ষী করা হচ্ছে।

নাইস আশঙ্কা করছেন, র‌্যাব সদস্যরা তার স্বামীকে তুলে নেওয়ার পর হত্যা করে লাশ গুম করেছেন। এতদিন র‌্যাবের ভয়ে তিনি মামলা করতে পারেননি। এখন পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তিনি মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। থানায় গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তাই তিনি আদালতে মামলা করছেন। তিনি ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছেন।

সারাবাংলা/এনইউ

অভিযোগ গুম টপ নিউজ রাজশাহী র‍্যাব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর