বনশ্রী ও কদমতলি থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার
৩১ আগস্ট ২০২৪ ১৭:২৬
ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বনশ্রীর নড়াই নদী থেকে মাহফুজুর রহমান বিপ্লব (৪৫) ও কদমতলি মিনাবাগ থেকে মাহবুব (২৫) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে বনশ্রী বসুতি মা ও শিশু হাসপাতালসংলগ্ন নড়াই নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মাহফুজুর রহমান ও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিনাবাগের একটি গলি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মাহফুজের বড় ভাই মাহবুবুল আলম জুয়েল জানান, ঢাকায় চায়না প্রজেক্টে কাজ করতেন মাহফুজ। বর্তমানে স্ত্রী নুরজাহান মিল্কিকে নিয়ে বনশ্রী জি ব্লকের ১ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে থাকতেন। ১৬-১৭ বছর আগে বিয়ে করেন মাহফুজ। তবে তার কোনো সন্তান নেই। ২৯ আগস্ট সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি মাহফুজ। আজ সকালে লোক মারফত খবর পান, নদীতে একটি মরদেহ ভাসছে। পরে সেখানে গিয়ে ছোট ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। তবে কারা তবে কিভাবে তার মৃত্যু সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
ডেমরা রাজাখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহাবুব আলম জানান, গত ২৯ আগস্ট সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ৩০ আগস্ট রাতে খিলগাঁও থানায় তার স্ত্রী নুরজাহান মিল্কি নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। সবশেষ আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্বজনরা খিলগাঁও থানাধীন বসুতি মা ও শিশু হাসপাতাল অপর পাশে নড়াই নদীর বাঁশের ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান লাশ শনাক্ত করেন।
এসআই আরো জানান, পানিতে ভাসতে থাকায় নৌ পুলিশে খবর দেয়া হয়। দুপুর দেড়টার দিকে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মাথার পিছনে একটি জখমের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়া শরীর কিছুটা পঁচে ফুলে গেছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে, কদমতলিতে নিহত মাহবুবের মামা হাবিবুর রহমান জানান, মাহবুবের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম হাসান আলী। স্ত্রী আঁখি আক্তার ও ১ ছেলেকে নিয়ে থাকতেন যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার কাজিরগাঁও এলাকায়।
হাবিবুর রহমান আরো জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন মাহবুব। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাসা থেকে নিজের মোটরসাইকেলে বন্ধু জাকিরকে নিয়ে বের হন তিনি। আজ সকালে তারা খবর পান, কদমতলীর পাটেরবাগ মিনাবাগ ১ নং গলির পাকা মাথায় মাহবুবের মরদেহ পরে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা সেখানে গিয়ে দেখেন, জবাই করা মরদেহ পড়ে আছে মাহবুবের। কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে স্বজনরা কিছু জানাতে পারেনি। তার বন্ধু জাকিরকে ধরলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি। তবে ঘটনার পর থেকে জাকির পলাতক রয়েছে।
সুরতহাল প্রতিবেদনে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আজাহার হোসেন উল্লেখ করেন, খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিনাবাগ এলাকার পাকা রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত দুস্কৃতকারীরা তাকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমও