Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিজিএমইএ’র পর্ষদ ভেঙে দেয়াসহ ৭ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ আগস্ট ২০২৪ ১৭:২৬

ঢাকা: বাংলাদেশ তৈরিপোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি)-এর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিজিএমইএ’র সাধারণ সদস্যবৃন্দ’র ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এসময় মাইশা ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক ভূঁইয়াসহ আরও অনেক সাধারণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক ইনামুল হক খান বাবলু বলেন, বিজিএমইএ-কে আর দলীয় লেজুড়বিত্তিক হিসেবে দেখতে চাই না। বিইউএফটিও যে উদ্দেশ্যে গড়ে উঠেছিল তা পূরণ না করে কুক্ষিগত করা হয়েছে।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ফারুক সাহেব দুই মাসের কথা বলে ৩৬ মাস ক্ষমতায় ছিলেন। আমাদের এখানেও আয়নাঘর আছে। এখন সময় এসব ভেঙে দেওয়ার। আমাদের সন্তানরা সেই পরিবেশ তৈরি করেছে। সন্তানরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। আমরা আর বসে থাকতে পারি না। সেই তাগিদ থেকে আমরা সংস্কার চাচ্ছি।

অনন্ত গার্মেন্টসের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, অনেকদিন ধরেই আমাদের প্রতিটি নির্বাচনই প্রশশ্নবিদ্ধ। নতুন ভোটার তালিকা তৈরি করে আমরা চাই নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। বর্তমানে আড়াই হাজার ভোটারের মধ্যে ৭০০ থেকে ৯০০ ভোটার ভুয়া। প্রথমদিকে এটা ছিলো ১০০ থেকে ২০০ ছিলো। আমি এসব নিয়ম নিয়ে যখনেই সময় পেয়েছি তখনই প্রতিবাদ করেছি। এর জন্য আমার অনেক ক্ষতিও হয়েছে। কয়েকবার কারখানায় হামলা হয়েছে। নিজের ওপরেও হামলা হয়েছে। খুব সহজেই বলা যায়, এমন ভোটার তালিকা যতদিন থাকবে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারবো না।

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে ন্যায়বিচারের। আমি আমার কারখানায় যত হামলা হয়েছে সেসব ঘটানায় মামলা করবো।

অন্য এক সদস্য বলেন, যারা বর্তমান পর্ষদ গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন তারা আজ জেলে। কতটা স্বৈরাচারি আচরণ করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। সদ্য বিদায়ী বিজিএমইএ’র সভাপতি ছাত্র আন্দোলনে কিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছে সেটা সবাই দেখেছে। সব মিলে বলতে চাই কোনো স্বৈরাচারের দোসররা এমন সংঠনে থাকতে পারে না।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতা হত্যাকারী, আওয়ামী লীগের দোসরদের পরিচালনা পর্ষদকে ভেঙে দিতে হবে। এছাড়া এই ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মো. টিপু মুন্সি, মো. আতিক, মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ ও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বিজিএমইএ সদস্যদের অর্থে গঠিত বিইউএফটি-কে ট্রাস্টি বোর্ডে রূপান্তরিত করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের কুক্ষিগত করেছে। তারা অবলিম্বে বিইউএফটি-কে ট্রাস্টি বোর্ডের বিলুপ্তি করে এর পুর্নঃগঠনের দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা সাতটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:-

১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতা হত্যাকারী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম কে বিজিএমইএ এর সভাপতি নিয়োগ সাধারণ সদস্যরা মানে না। অবিলম্বে তার নিয়োগ বাতিল ও পরিচালনা পর্ষদকে ভেঙে দিতে হবে।

২. সদস্যদের সাথে আলোচনা করে দলীয় প্রভাবমুক্ত ২০ সদস্যের একটি অন্তবর্তীকালীন পরিচালনা বোর্ড গঠন।

৩. অন্তবর্তীকালীন পরিচালনা বোর্ড স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে অতি দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহন।

৪. বিজিএমইএ’র অতীতের সকল দুর্নীতির স্বচ্ছ ও সঠিক তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

৫. খুনি স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ বর্তমান বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করা।

৬. বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) নিহত শহীদ মো. সেলিম
তালুকদারসহ সকল নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান।

৭. বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরকে ‘শহীদ সেলিম’ চত্বর ঘোষণা করা।

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

টপ নিউজ বিজিএমইএ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর