জাগরণী ফাউন্ডেশনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:০৮
ঢাকা: বেআইনিভাবে ব্যাঙ্ক (ফাঁকা) চেক গ্রহণ করায় বেসরকারি ঋণ প্রদানকরী সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ও অভিযোগকারীর আবেদনের শুনানি শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বেঞ্চ-২ এই নির্দেশ দেয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ পর্যালোচনাপূর্বক এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে, ২০২১ সালে চড়া সুদে নেওয়া ঋণের সমুদয় টাকা পরিশোধ করেও প্রায় দুই বছর পর ২০২৩ সালে ভুক্তভোগীকে অন্যায়ভাবে ১৭ দিন জেল হাজতে থাকতে হয়েছে। যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং এভাবে জেল খাটায় ভুক্তভোগীকে সামাজিক, আর্থিক, মানসিক ও পারিবারিকভাবে যে ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে তা অপূরণীয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদে গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ রয়েছে এবং ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনোক্রমেই উক্ত ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়।
তথাপিও ভুক্তভোগীর ক্ষতি কিছুটা লাঘবের জন্য জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীকে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এই টাকা পরিশোধ করবে আদেশে তা উল্লেখ করা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বেঞ্চ-২ এর এমন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীকে প্রদান করেছে।
সাধারণ জনগণ নিরূপায় হয়েই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। আর এই বিপদের সুযোগে বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থা কর্তৃপক্ষ ফাঁদে ফেলে ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে স্বাক্ষরযুক্ত ফাঁকা চেক নিয়ে পরবর্তীতে মামলা দায়ের করে নিরপরাধ মানুষগুলোকে হয়রানি করে। এবং ঋণের চেয়ে অনেক বেশি টাকা আদায় করে মর্মে প্রায়শই অভিযোগ পাওয়া যায় উল্লেখ করে
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আরও বলেন যে, অসহায় ও দরিদ্র ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জের নামে ঋণের ওপর উচ্চসুদে ২৪ শতাংশ হারে টাকা আদায় করার ফলে ঋণগ্রহীতাগণ আরও নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। উক্ত সার্ভিস চার্জের পরিমাণ যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা এবং বেআইনিভাবে ফাঁকা চেক গ্রহণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যানের প্রতিও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ